বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম আজ দেশের ৪৮তম বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সবুজ লনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
বেলা ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বঙ্গভবনের সবুজ লনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশ ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর কাছে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পন করলে জন্মলাভ করে বাংলাদেশ। তাই ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশে ছুটির দিন।
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদৌজ্জা চৌধুরী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যগণ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনারগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধূরী, জ্যেষ্ঠ আইনজীবীগণ, তিন বাহিনীর প্রধান, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ, বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবার, শিল্পী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট নাগরিকগণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালদ্বীপের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের ৪৩ জন সদস্যও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
এই সময় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বিজয় দিবসের কেক কাটেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আহত মুক্তিযোদ্ধা ও অন্যান্য অতিথিদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তারা আহত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের কল্যাণে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
দেশের প্রখ্যাত শিল্পী রফিকুল ইসলাম, ফাহমিদা নবী, বাপ্পা মজুমদার, মেহেরিন ও মুনিয়া বাউলা গান পরিবেশন করেন এবং শিশু ও একটি আর্মি ব্যান্ড অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন।