ভোটের ময়দানে হিরোগিরি দেখাতে ব্যর্থ হিরো আলম’
বগুড়া-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। নির্বাচন কমিশনকে ‘হাইকোর্ট’ দেখানো হিরো আলম পেয়েছেন মাত্র ৬৩৮ ভোট। সিংহ প্রতীকের এ প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
তার এ পরাজয়ের খবর দেশের গণমাধ্যমের পাশাপাশি ভারতের গণমাধ্যমগুলোতেও গুরুত্বসহ ছাপা হয়েছে। দেশটির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজে শিরোনাম করা হয়েছে-‘ভোটের ময়দানে হিরোগিরি দেখাতে ব্যর্থ হিরো আলম’।
খবরে হিরো আলমকে বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে-তার নাকি বিশাল ফ্যান ফলোয়ার। অথচ ভোটের ময়দানে তার সেই জনপ্রিয়তা কোনো কাজেই এলো না। উল্টো ভোটাররা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বগুড়া-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন। দ্বিতীয় হয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
এদিকে নিজের সমর্থকদের ভোট দিতে দেয়া হয়নি অভিযোগ করে জামানত ফেরত চেয়েছেন আলোচিত অভিনেতা হিরো আলম। ভোট দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ করে হিরো আলমের ভাষ্য- ‘আমার লোকদের তো ভোটই দিতে দেয়নি। তা হলে জামানতের টাকা ফেরত দেবে না কেন?’
এক-অষ্টমাংশ ভোট না পাওয়ার বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমার লোকজনকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এজেন্ট দিতে দেয়া হয়নি। যাও কয়েকজনকে দিয়েছি, তাদেরও বের করে দেয়া হয়েছে।
জামানত হারানোর বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি এ ভোট মানি না। আমার জমা দেয়া জামানতের টাকা তাদের ফেরত দিতেই হবে। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে জয় পেতাম। কিন্তু ভোট হতে দেয়নি; বরং আমাকে ও আমার লোকজনকে তারা মেরেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন সকালে ‘হামলা-মারধর ও এজেন্টকে বের করে দেয়াসহ একাধিক অভিযোগ আমি করেছি। কোনো সাড়া না পাওয়ায় ভোট থেকে সরে দাঁড়াই। আমাকে ভোট দিতে দিলে অবশ্যই পাস করতাম।
প্রসঙ্গত, ইউটিউবে বিচিত্র অভিনয়, গান আর নাচ দেখিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন হিরো আলম। তার প্রকৃত নাম আশরাফুল আলম। তিনি এর আগেও স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচিত এই ‘হিরো’।