দলে ফিরতে বিপিএলে চোখ আল আমিনেরও
লম্বা সময় ধরেই আছেন জাতীয় দলের বাইরে। দেশের হয়ে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন ২০১৬ সালের মার্চে, টি২০ বিশ্বকাপের ম্যাচে। মাঝের প্রায় তিন বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করলেও আল-আমিন হোসেন আছেন একরকম আলোচনার বাইরে। তবে এবার সুযোগ এসেছে আবারও আলোচনায় আসার।
ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট টুর্নামেন্ট বিপিএলে আল-আমিন খেলছেন সিলেট সিক্সার্সের হয়ে। অভিজ্ঞতা থেকেই জানেন, এই টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নজরে পড়া যায় নির্বাচকদের। এর আগে সাব্বির রহমানও বলেছেন একই কথা। এছাড়া জাতীয় দলে ফিরতে বিপিএলকে পাখির চোখ করছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সংলগ্ন একাডেমি মাঠে সিলেট সিক্সার্স দলের অনুশীলনের এক ফাঁকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন জাতীয় দলের হয়ে ৬টি টেস্ট, ১৪টি ওয়ানডে এবং ২৫টি টি২০ ম্যাচ খেলা এই পেসার।
জানান, নিজের সেরাটা দিয়েই জাতীয় দলে ঢোকার দৌড়ে আবার শামিল হতে চাইবেন তিনি, ‘বিপিএল একটা অনেক বড় টুর্নামেন্ট, সবাই খেলা দেখে। আমার কাছে মনে হয়, এটা একটা অনেক বড় সুযোগ। এখানে ভালো খেললে জাতীয় দলে ঢোকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আমাদের দলে অনেক পেসার রয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমারও ভালো করার একটা আলাদা চ্যালেঞ্জ থাকবে। সবকিছু মিলিয়ে আমি আশা করছি, এনসিএল-বিসিএলের মতো বিপিএলটাও ভালোই কাটাতে পারব।’
জানালেন, দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকলেও বোলিং নিয়ে বেশকিছু কাজ করেছেন। এখন সেই কাজগুলোই মাঠে ঠিকঠাক করার আশা এই পেসারের, ‘জাতীয় দলে সবাই তো সবসময় খেলবে না। ভালো করলে খেলবে, খারাপ করলে খেলবে না। এতদিন তো আমি চার দিনের ক্রিকেট খেলেছি। এখন টি২০ ফরম্যাটে খেলব। টি২০তে ভেরিয়েশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে ভেরিয়েশন নিয়ে বেশি কাজ করছি। শীতের ভেতরে খেলা। হয়তোবা অনেক কুয়াশা থাকবে। চেষ্টা করছি ইয়র্কারটা বেশি ভালো করে রপ্ত করার, যাতে মাঠে সেটা কাজে লাগানো যায়।’
আগামী ৬ জানুয়ারি টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে সিলেট।