নোয়াখালীতে গৃহবধূ গণধর্ষণ: অভিযুক্ত আ’লীগ নেতা গ্রেফতার
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত পৌনে তিনটার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রুহুল আমিনকে বুধবার রাতে উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ওয়াপদা এলাকার একটি খামার থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া এজাহারভুক্ত অন্য আসামি বেচুকে জেলার সেনবাগ উপজেলার খাঁজুরিয়া গ্রামের একটি ইটভাটা থেকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো বলে জানান তিনি।
এর আগে, গতকাল বুধবার দুপুরে কুমিল্লা থেকে সোহেলকে এবং মঙ্গলবার রাতে সুবর্ণচর থেকে মো. স্বপন নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে বাদশাহ আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন রোববার রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একদল যুবক ওই নারীর বসতঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামী-সন্তানদের অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে দুর্বৃত্তরা ধর্ষণ করে। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এতে উল্লেখ করা হয়- ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে সংসদ নির্বাচনে সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ১৪ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় ওই নারীর সঙ্গে কেন্দ্রে থাকা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তর্ক হয়। যুবকরা ওই নারীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ওই রাতেই গণধর্ষণের শিকার হন চার সন্তানের জননী ওই গৃহবধূ।