ধর্ষিত তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু, প্রেমিক আটক
পুলিশ প্রেমিক আব্দুর রহিমকে আটক করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার সকালে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে মাহফুজা আক্তার নাজমার (১৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নাজমা পাবনার সাথিয়া উপজেলার কালাইছাড়া উত্তরপাড়া এলাকার আবু হানিফের মেয়ে এবং তিনি আশুলিয়ার জামগড়া রূপায়ন এলাকায় ভাড়া বাসায় বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন।
আটক আব্দুর রহিম (২৩) সাথিয়া উপজেলার পিকুলিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পাশাপাশি ভাড়া বাড়িতে থেকে একই পোশাক কারখানার আয়রনম্যান হিসেবে কাজ করেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, গত শনিবার কারখানা ছুটির পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাজমা আর আব্দুর রহিম বাসায় ফিরছিল। পথে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই ব্যক্তি তাদের ডেকে বাউন্ডারি করা জমির ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে একই পোশাক কারখানার দুই কর্মী রিপন, শিপন এবং অজ্ঞাত আরো দুইজন অবস্থান করছিল। তারা নাজমাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের আগে তারা প্রেমিক আব্দুর রহিমকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়।
পরে রাত ২টার দিকে রিপন ও শিপন দুই জন নাজমাকে তার বাসার সামনে রেখে চলে যায়। ঘটনার পরের দিন রোববার নাজমা আশুলিয়া থানায় রিপন, শিপন এবং অজ্ঞাত দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
সোমবার সকালে নাজমা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নাজমার মা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার গোরাট এলাকার পোশাক কারখানা থেকে ছুটি শেষে কথিত প্রেমিক রহিম তাকে কৌশলে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
নিহতের বাবা বলেন, ‘‘শনিবার রাতে মেয়ে ফোন করে টাকা চায় এবং বলে তাকে বাঁচাতে হলে দ্রুত যেন টাকা পাঠায়। পরে রাতে অপরাধীরা তার মেয়েকে বাসার সামনে ফেলে দিয়ে যায়।’’
তিনি হত্যা ও ধর্ষণের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন। অপরাধীদের ফাঁসি চান।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জাবেদ মাসুদ বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তেরর জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। কথিত প্রেমিককে আটক করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।