কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাবেক কলেজ শিক্ষক কৃষ্ণা কাবেরী হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এম জহিরুল ইসলাম পলাশ গুলশানের একটি ব্রোকার হাউজের ম্যানেজার। তিনি পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। পাশাপাশি দণ্ডবিধির ২০ ও ৭ ধারায় কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী ও দুই সন্তানকে হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে গুরুতর জখম করার অপরাধে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
কৃষ্ণা কাবেরী বিআরটিএ’র উপপরিচালক সীতাংশু শেখর বিশ্বাসের স্ত্রী ও রাজধানীর মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সাবেক শিক্ষক। ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় জহিরুলের হামলায় গুরুতর আহত হন কৃষ্ণা। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে জহিরুল সীতাংশুর বাসায় যান। সেখানে জুসের মধ্যে চেতনানাশক মিশিয়ে সীতাংশুকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন জহিরুল।
স্বামীকে বাঁচাতে গেলে কৃষ্ণাকেও আঘাত করেন তিনি। পরে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় জহিরুল। পরের দিন কৃষ্ণা মারা যায়।
হামলায় তাদের ১৪ বছরের মেয়ে শ্রাবণী বিশ্বাস শ্রুতী ও আট বছরের মেয়ে অরতি বিশ্বাসও আহত হয়।
পরে সীতাংশুর ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস ১ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় জহিরুল ও তার শ্যালকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ শ্যালককে বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র দাখিল করে। সবধরনের সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করলো।