নামাজ পড়ে জুলহাস,তনয়কে হত্যা করে খুনিরা।
‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান ও তার বন্ধু নাট্যকর্মী মাহবুব রাব্বী তনয় হত্যাকাণ্ডে ১৩ জন জড়িত ছিলেন। তারা টঙ্গী থেকে প্রথমে কলাবাগান আসেন। এর পর পাশের একটি মসজিদে নামাজ শেষে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান। এটি ছিল তাদের ২০১৬ সালের শেষ অপারেশন।’
বুধবার কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে টঙ্গী এলাকা থেকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি আসাদুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকে এর আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ১৩ জনের মধ্যে ৫ জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। এরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য।
মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সর্বশেষ গ্রেফতার আসাদুল্লাহর বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরে। তিনি যশোর পলিটেকনিকে পড়াশোনা করেছে। আসাদুল্লাহর বাবা ছিলেন জামায়াতের রুকন পর্যায়ের নেতা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগদানের আগে ২০১৫ সালে যশোরের নওয়াপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রশিবিরের সাথী ছিলেন।
তিনি বলেন, আসাদুল্লাহকে আদালতে তুলে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। আশা করছি ব্যাপক জিজ্ঞাসাবদে আরও তথ্য পাব।
২০১৬ সালে বাড্ডায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হারানো অস্ত্রটিও পাওয়া যাবে।
মনিরুল বলেন, জঙ্গি তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশে পার পাওয়া যাবে না এমনটি বুঝে গেছে জঙ্গিরা। তাই জুলহাস-তনয় ঘটনার পর আর তেমন ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, মতমত প্রকাশের জন্য জুলহাস-তনয়কে টার্গেট করে হত্যা করা হয়।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডের বাড়িতে ইউএসএইড কর্মকর্তা জুলহাস মান্নান এবং তার বন্ধু মাহবুব তনয়কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।