আইনজীবী রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপার মৃত্যুদণ্ড
রংপুরে আলোচিত সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা হত্যা মামলায় স্ত্রী দীপা ভৌমিককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় স্নিগ্ধা ভৌমিক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে মামলার প্রধান আসামি রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ওরফে স্নিগ্ধাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়ে আসা হয়।
আলোচিত রথীশ চন্দ্র হত্যা মামলায় মোট ৩৭জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। পরে গত চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আজ মঙ্গলবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত দুই আসামির মধ্যে একমাত্র জীবিত আছেন নিহত রথীশ চন্দ্রের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার দীপা। তার প্রেমিক কামরুল ইসলাম গত বছরের ১০ নভেম্বর ভোরে কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
গত বছর ৩ এপ্রিল রথিশের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়ায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে রথিশের লাশ বালুচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব। এর পাঁচ দিন আগে তাকে ঘুমের বড়ি খাইয়ে হত্যা করা হয়।
রথিশের স্ত্রী দীপা ভৌমিক ও দীপার সহকর্মী কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দুই আসামিই তাজহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে তারা বিয়ে করার জন্য রথিশকে হত্যা করেন বলে আদলতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এর আগে গত ২১ অক্টোবর অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।