নিজে স্যালাইন স্ট্যান্ড, বাবাকে বাঁচানোর জন্য ২ ঘণ্টা বোতল ধরে রাখল মেয়েটি
সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্য দপ্তরের যে কি অবস্থা তা কারো থেকে লুকিয়ে নেই। প্রায় সময়ই আমরা এমন খবর শুনে থাকি যেখানে স্বাস্থ্য দপ্তরের খারাপ চিকিৎসার কথা শোনা যায়। এরকমই এক ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ছবি চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই ছবিতে একটি নিষ্পাপ মেয়ে নিজের পিতার জীবন বাঁচানোর জন্য স্যালাইন এর বোতল হাতে ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তথ্য অনুযায়ী মেয়েটি অনেক ঘন্টা ধরে স্যালাইন এর বোতল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
আপনি প্রায়শই শুনেছেন যে প্রত্যেক মানুষই ছেলে সন্তানের চাহিদা করে থাকে কিন্তু মেয়েরা নিজের মা বাবার প্রতি যে সেবাযত্ন করে থাকে তা একটি ছেলে কোনদিনই করতে পারে না। এই কথাটি কে প্রমাণ করেছেন মহারাষ্ট্রের সাত বছরের একটি বাচ্চা মেয়ে, মেয়েটি নিজের পিতার জীবন বাঁচার জন্য এক কেমন কাজ করেছে যার ফলে তার ভাইরাল ছবি গুলোতে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসছে। কেউ কেউ হাসপাতাল কর্মীদের রোগীদের প্রতি অবহেলা কে বলছে আবার কেউ কেউ মেয়েটির ধৈর্য শক্তির কথা বলছে।
তারপর ডাক্তাররা একনাথের মেয়েকে স্যালাইনের বোতলটি হাতে ধরিয়ে দেয়, এবং স্যালাইন স্ট্যান্ড টি আনতে চলে যান।
খবর অনুযায়ী মেয়েটি তার পিতার জীবন বাঁচানোর জন্য ২ ঘন্টা ধরে স্যালাইনের বোতল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে থাকে। গত বছর মে মাসে ঘটিত এই ঘটনার ছবিগুলি এখনো সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হচ্ছে। এই হাসপাতাল মারাঠাবাড়ার সবচেয়ে বড় ১২০০ বেডের হাসপাতাল, যেখানে ঔরঙ্গবাদ সমেত আশেপাশের ৮টি জেলার রোগীরা চিকিৎসার জন্য এসে থাকে। মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার ওই হাসপাতালের ভাইরাল এই ছবিতেএকটি সাত বছরের বাচ্চা মেয়েকে স্যালাইনের বোতল হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, ওই হাসপাতলে স্যালাইন স্ট্যান্ড এর অভাব থাকায় একনাথের মেয়ে তার বাবার জীবন বাঁচানোর জন্য দুই ঘন্টা ধরে বোতলটি হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
পিতা ও মেয়ের এই ছবি সবাইকে অবাক করে দেওয়ার মতন। ঔরঙ্গবাদের একনাথ গাবলি কে ৫ ই মে হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। এবং অপারেশনের পরে তাকে যখন অন্য জায়গায় সরানো হয় তখন সেখানে স্যালাইন স্ট্যান্ড এর অভাব ছিল। তারপর এই ভাইরাল ছবি কে নিয়ে বিবাদ শুরু হয় তখন হাসপাতালের ডিন ডো কানন ইয়েলিকর এর তদন্ত শুরু করে। এরপর তিনি বলেন যে এই ভাইরাল ছবি প্রাপ্ত হওয়ার পর তিনি এই নিয়ে তদন্ত করেন এবং এই কথাটি সামনে আসে যে যেই সময় ডক্টর স্যালাইন স্ট্যান্ড আনার জন্য গিয়েছিলেন সেই সময় এক এনজিও সেই বাচ্চার ছবি তুলে নেয়। আবার ডাক্তার প্রবীণ গারবারে বলেন যে স্ট্যান্ড ছোট হওয়ার কারণে তিনি কিছু সময়ের জন্য গিয়েছিলেন ২ ঘন্টার জন্য নয়।