জিদান আর কয়টা দিন আগে ফিরতেন!
সব যেন ভোজবাজির মতো পাল্টে গেল। যারা ছিলেন ব্রাত্য, তারা জায়গা ফিরে পেলেন। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর দর্শকদের মুখে ফিরল হারিয়ে যাওয়া হাসিও। রিয়াল মাদ্রিদের রাজপুত্র ফিরে আবারও জাদুর কাঠিতে জাগিয়ে তুললেন সবাইকে। তাতে কথা বলার শক্তি ফিরে পেয়ে সবার মুখে মুখে এখন একটাই প্রশ্ন, এই জিনেদিন জিদান কেনো নয়মাস অভিমান করে দূরে ছিলেন?
নিজের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ম্যাচে সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে খুব বেশি অস্থিরতা করেননি জিদান। শুধু নিজের পুরনো যোদ্ধা কেইলর নাভাস, মার্সেলো ও ইস্কোকে হারানো জায়গা ফিরে দিয়েছিলেন। জিদানবিহীন সময়ে এই তিন ফুটবলারকে এক প্রকার ব্রাত্যই করে রেখেছিলেন সদ্য বরখাস্ত হওয়া কোচ সান্তিয়াগো সোলারি।
জিদান ফিরতেই নিজেদের আত্মবিশ্বাসের পালে যেন হাওয়া লেগেছে রিয়াল ফুটবলারদের। শনিবার সেল্টার বিপক্ষে জয়ের ব্যবধানটা ২-০ গোলের হলেও সমর্থকদের স্বস্তি দিয়েছে খেলার ধরণ। সোলারির সময় যে ইস্কো মূল দলে জায়গাই পেতেন না, তিনিই পুরনো গুরুকে ৬২ মিনিটে উপহার দিলেন প্রথম গোল।
আর গ্যারেথ বেলকে জিদান খেলাবেন কিনা এ নিয়ে যারা ছিলেন সন্দিহান, তাদের জন্য সুসংবাদ হল ওয়েলস ফরোয়ার্ডকে পুরো ৯০ মিনিট খেলিয়েছেন জিদান। আস্থার প্রতিদান হিসেবে ৭৭ মিনিটে রিয়ালের দ্বিতীয় গোলটি এসেছে বেলের কাছ থেকেই।
নিজেদের মাঠে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রীতিমত অপ্রতিরোধ্য ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। যে দলটাকে দিয়ে টানা তিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতিয়েছিলেন জিদান, সেই দলটারই হারানো ঝলক দেখা গেছে শনিবারের ম্যাচে।
প্রিয় দলের এমন খেলা দেখে মাঠ ছাড়ার সময় অনেক সমর্থকই ঘরে ফিরেছেন আফসোস জানিয়ে, ‘আহ! আয়াক্স ম্যাচের আগে যদি ডাগআউটে থাকতেন জিদান। তাহলেই তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে আর বাদ পড়তে হয় না রিয়ালকে!’
সমর্থকদের এমন আফসোসের প্রেক্ষিতে স্প্যানিশ পত্রিকা মার্কার বিশ্লেষণ, আয়াক্সের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটা হেরে গিয়ে একপ্রকার ভালোই করেছে রিয়াল। কারণ, তাতে জিদানের অনুপস্থিতি আরও ভালোভাবে টের পেয়েছেন রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। প্রয়োজন বোধ করেছেন পরিবর্তনের। টের পেয়েছেন বলেই না আবারও ডাগআউটে ফিরিয়েছেন জিদানকে!