বরগুনায় শিশু ছাত্রীকে ধর্ষণকারী মাদ্রাসা শিক্ষক আটক
বরগুনায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে পলাতক থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করেছে র্যাব। অভিযুক্ত সাইফুল স্থানীয় সাহেবের হাওলা রফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার শরীর চর্চা বিষয়ের শিক্ষক। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-০৮।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে র্যাব-০৮। ২১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১২টার দিকে র্যাবের চেকপোস্ট দেখে সাইফুল দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা তাকে ধাওয়া করে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে র্যাব-৮ (পটুয়াখালী-বরগুনা) ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর শেখ নাজমুল আরেফিন বলেন, গত ২০ জানুয়ারি বরগুনা জেলার সদর থানার কেওড়াবুনিয়া এলাকায় সাহেবের হাওলা রাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে গাইড বই দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। পরে নির্যাতিতাকে গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
র্যাব কমান্ডার জানান, ধর্ষক মাদ্রাসা শিক্ষক সাইফুলকে গ্রেফতারের জন্য প্রথম থেকেই আমরা তৎপর ছিলাম। কিন্তু ধর্ষক সাইফুল বিভিন্ন সময়ে ধূর্ততার সাথে তার অবস্থান ও মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে থাকে। এ কারণে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েও তাকে সহজে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
আসামিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু তাকে বরিশাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারপরও তাকে আজকের মধ্যেই বরগুনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২০ জানুয়ারি দুপুরে বরগুনা সদর উপজেলার সাহেবের হাওলা রাফেজিয়া দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন শিক্ষকের বাসায় ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় দায়ী করা হয় মাদ্রাসার শরীরচর্চা বিষয়ের শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে সাইফুল ইসলাম, তার বাবা মাওলানা ইব্রাহিম ও সাইফুলের ভাইয়ের স্ত্রীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।