চাঁদে নামার মহূর্তে ইসরায়েলি মহাকাশ যান ক্রাশ।
ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত বিশ্বের প্রথম চন্দ্রাভিযানে ইসরায়েলি একটি মহাকাশযান চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছে।
মূল ইঞ্জিন অকার্যকর হয়ে পড়ার কারণেই অবতরণের আগ মুহূর্তে মহাকাশযানটি চন্দ্রপৃষ্ঠে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বেরেশিট নামের ইসরায়েলি ওই যানটি চাঁদে স্বাভাবিকভাবেই নামার চেষ্টা করেছিল; কিন্তু অবতরণের সময় কারিগরি সমস্যা দেখা দেয় বলে অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।
ব্যক্তিগত অর্থায়নে পরিচালিত ইসরায়েলের অলাভজনক সংস্থা স্পেসইল ও ইসরায়েল সরকারের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ যৌথভাবে চাঁদের ছবি তোলা এবং সেখানে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর লক্ষ্যে এ মহাকাশযানটি পাঠিয়েছিল।
বেরেশিট সফল হলে ইসরায়েল চাঁদে নামা চতুর্থ দেশের স্বীকৃতি পেত।
এর আগে সোভিয়েত ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সরকার পরিচালিত মহাকাশ গবেষণা সংস্থার যানই কেবল চন্দ্রপৃষ্ঠ সফলভাবে নামতে পেরেছে।
ইসরায়েলি প্রকল্পের অন্যতম উদ্যেক্তা ও পৃষ্ঠপোষক মরিস কান বলেন, “আমরা পারিনি, কিন্তু চেষ্টা করেছিলাম। অবশ্য যতটা পেয়েছি তাও অসাধারণ, আমার ধারণা- আমরা গর্ব করতে পারি।”
তেল আবিবের কাছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বেরেশিটের চাঁদে অবতরণ দেখছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেরেশিটের ব্যর্থতার পর তিনি ফের চাঁদে মহাকাশযান পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের হতোদ্যম না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “প্রথমে যদি আপনারা সফল নাও হন, ফের চেষ্টা করুন।”
পৃথিবী থেকে রওনা দেয়ার ৭ সপ্তাহ পর মনুষ্যবিহীন ওই যানটির চাঁদে অবতরণের চূড়ান্ত ক্ষণ দেখতে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের বাইরেও অনেকে জড়ো হয়েছিলেন। ইতিহাসের সাক্ষী হতে এসে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে তাদের।
“আমরা দুর্ভাগ্যজনকভাবে সফলভাবে অবতরণ করতে পারিনি,” বলেছেন ইসরায়েলের অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের মহাব্যবস্থাপক অফের ডোরন।
এ অভিযানে মাত্র ১০ কোটি ডলার খরচ হয়েছে; ভবিষ্যতে চাঁদে কম খরচে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এটি পথ দেখাতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।