নুসরাত জাহান রাফীর হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে প্রানের’৭১এর মানববন্ধন।
আজ শুক্রবার ১২ এপ্রিল জাতীয় শহিদ মিনারে সামাজিক সংগঠন প্রানের’৭১ সোনাগাজীতে মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীকে আগুনে পুঁড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। হত্যাকান্ডে জড়িত সকল আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা করে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা।
এতে উপস্থিত ছিলেন প্রানের’৭১ এর কেন্দ্রীয় সভাপতি জনাব মমিনুল আহসান, সহ সভাপতি নাসরিন হক, সাধারন সম্পাদক সুব্রত অভি, পলাশ আহম্মেদ, মোজাম্মেল হক বাবু, তোফায়েল আহম্মেদ, আবু মুছা স্বপন, এমডি আলী ইমাম,এবি রাফি ছাড়াও সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদী বক্তব্য প্রদান করেন ও সাধারন প্রতিবাদী মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এই মানবন্ধনে বক্তারা নুসরাত জাহান রাফী হত্যাকাণ্ডের ছাড়াও সাম্প্রতিক দেশে ঘটে যাও নারী ও শিশু হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ করেন। দ্রত বিচার আইনে আসামীদের গ্রেফতার, দ্রত বিচার, বিচার কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবান করেন।
গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিলো নুসরাত জাহান রাফীর। সকালে মাদ্রাসায় গেলে একজন সেই ছাত্রীকে বলে যে, তার এক বান্ধবীকে কারা যেন ছাদে মারধর করছে। এ কথা শুনে সে তখনই সেখানে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে বোরকাপরিহিত চারজন ওই ছাত্রীকে ঘিরে ধরে এবং অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য চাপ দেয়। এই চাপ প্রত্যাখ্যান করায় সেই চারজন প্রথমে তাকে কিল-ঘুষি মারে। এক পর্যায়ে তারা সেই ছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রীর চিৎকার শুনে সেখানে ছুটে যান পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কনস্টেবল রাসেল ও মাদ্রাসার অফিস সহকারী মোস্তফা। পরে তারা ছাত্রীর গায়ে কার্পেট জড়িয়ে আগুন নেভান।
১০ই এপ্রিল রাত ৯টায় রাফি সবাইতে কাঁদিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর আগে রাফী বলে যান আমি সারা বাংলাদেশের কাছে এবং বিশ্ব বাসীর কাছে বলবো এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য।