প্রাণের ৭১

আগে ব্যবস্থা নিলে নুসরাতের ঘটনা এড়ানো যেত: মানবাধিকার কমিশন

ঘটনার শুরুতেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হলে ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত হত্যাকাণ্ড এড়ানো যেতে বলে মনে করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

শুক্রবার মাদরাসা পরিদর্শন শেষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অভিযোগ ও তদন্ত বিষয়ক পরিচালক আল মাহমুদ ফয়েজুল কবির এ কথা বলেন।

‘নুসরাত হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল’উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনার সূত্রপাত ২৭ মার্চ যদি যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে ৬ এপ্রিলের ঘটনাটি (নুসরাতের গায়ে আগুন) এড়ানো সম্ভব হতো। কারণ ২৭ তারিখের ঘটনার কারণেই এটি ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার (নুসরাত হত্যা) মাস্টারমাইনড হলো সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. সিরাজ উদদৌলা। আর ঘটনা ঘটিয়েছে তার সহযোগী ও দোসররা।’

এর আগে আল মাহমুদ ফয়েজুল কবিরসহ তদন্ত দল প্রথমে ঘটনাস্থল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে বৈঠক করেন।

পরে তদন্তদল প্রধান অভিযুক্ত আসামি অধ্যক্ষের অফিস কক্ষ ও যেখানে নুসরাতকে কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয় সে স্থান পরিদর্শন করেন।

তদন্তদল নিহত নুসরাত জাহান রাফির বাসস্থান সোনাগাজী পৌরসভার উত্তর চর চান্দিয়ায় মোজো হুজুরের বাড়ি গিয়ে পরিবারের সাথে কথা বলেছেন।

এসময় সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল পারভেজও উপস্থিত ছিলেন ।

এদিকে এ হত্যা মামলার কর্মকতা পিবিআই এর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ৯ জন আসামির রিমান্ড চলছে। আমরা চারজন আসামিকে জোরালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।’

তদন্ত চলছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন টিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে।’

  • মানবাধিকার





মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*