শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে দেড় যুগ আগে চাকরি হারিয়েছিলেন সিরাজ উদ-দৌলা
নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা থেকে শুরু করে যৌন হয়রানি, সমিতি ও মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের মামলার আগেও জেলে যেতে হয়েছে তাকে।
আলোচনা আছে, জামায়াতের রাজনীতি করলেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে পার পেয়ে আসছিলেন সিরাজউদ্দৌলা।
আশির দশকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী, পরে জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রোকন হন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার। ২০১৪ সালে পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতার অভিযোগে মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
কয়েকবছর আগে সমিতির মাধ্যমে খুলেছিলেন আবাসন ব্যবসা। সেখানে প্রায় দেড়কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে। সেই মামলায় গত বছর জুলাইয়ে জেলও খেটেছেন তিনি। মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও ওঠে কয়েকবার। এসব অভিযোগ তিনি ডিঙিয়েছেন কীভাবে, ঘুরেফিরে উঠছে সেই প্রশ্ন?
স্থানীয়রা বলছেন, ক্ষমতাসীন দলের একটা অংশ ছিলো তার সঙ্গে।
সরকারি দলের কারা সঙ্গে ছিলেন এই অধ্যক্ষের? এই প্রশ্নে আলোচনায় এসেছে পৌর কাউন্সিলর মাকসুদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনের নাম। তবে, অভিযোগ মানছেন না রুহুল আমিন।
তবে জেলা আওয়ামী লীগ বলছে, এরই মধ্যে অভিযুক্ত দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিজের পক্ষে রাখতে শিবিরকর্মী নূর উদ্দিনকে কাজে লাগাতেন অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা। তিনি কারাগারে যাওয়ার পর আন্দোলন শুরু করে তাদের একটি অংশ।
সূত্র ; ইনডিপেন্ডেন্ট টিভি