নুসরাত হত্যা: সোনাগাজী আওয়ামী লীগ সভাপতি রুহুল আমিন গ্রেপ্তার

মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার তাকিয়া রোড়ের বাসা থেকে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুলকে আটক করে বলে পিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার আবু তাহের জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২৭ মার্চ আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাহার করতে রাজি না হওয়ায় নুসরাতকে ৬ এপ্রিল মাদরাসার ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া নুসরাত ১০ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের বার্ন ইউনিটে মারা যান।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ ও আবদুল কাদের জড়িত থাকার বিষয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শরিফ জবানবন্দিতে আরও জানায়, ৪ এপ্রিল রাতে ১২ জনের এক সভায় হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ও দায়িত্ব বণ্টন করা হয়। তার দায়িত্ব পড়ে মাদরাসার গেট পাহারার। সেখানে নুর উদ্দিন, আবদুল কাদেরও তার সাথে ছিলেন। মাদরাসার ছাদে বোরকা পরে ছিলেন শাহাদাত, জোবায়ের ও জাবের। এছাড়া ছাদে ছিলেন কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি।
জানা যায়, নুসরাতকে পুড়ানোর পর শাহাদাত মোবাইল ফোন থেকে রুহুল আমিনকে ‘কাজ হয়ে যাবার’ বার্তা দেয়। এ সময় রুহুল আমিন বলেন, ‘আমি জানি, তোমরা সরে যাও।’ এ নির্দেশ পাওয়ার পর নুর ময়মনসিংহের ভালুকা ও শাহাদাত মুক্তাগাছায় চলে যান।unb