April, 2019
যৌন নিপিড়ক সিরাজ উদ-দৌলা কে সমর্থন করে ফেনী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের আপত্তিকর মন্তব্য।
আগুনে পুড়িয়ে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন ফেনীর সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগম। একই সঙ্গে রাফি হত্যার বিচারের দাবিতে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করতে চাইলেও অনুমতি দেননি ওই অধ্যক্ষ। সেই সঙ্গে ঘটনার জন্য নুসরাতকেই দায়ী করেছেন তিনি । এ প্রসঙ্গে সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ছাত্রী তাহমিনা রুমি ও স্নিগ্ধা জাহান রিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজের ব্যানারে আমরা একটা মানববন্ধন করতে কলেজের অধ্যক্ষ তাহমিনা বেগমের কাছে শনিবার সকাল ৯টায় অনুমতির জন্যআরো পড়ুন
পাবজি গেম নিষিদ্ধ করলো নেপাল
জনপ্রিয় অনলাইন গেম প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটলগ্রাউন্ডস (পাবজি) নিষিদ্ধ করলো নেপাল। দেশটি গত বৃহস্পতিবার গেমটি দেশব্যাপী নিষিদ্ধ করে। খবর রয়টার্সের। দেশটির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পাবজি গেমটির সহিংস বিষয়বস্তু শিশুদের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। নেপাল টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষের ডেপুটি ডিরেক্টর সন্দীপ অধিকারি রয়টার্সকে বলেন, আমরা পাবজি গেম নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছি কেননা এই গেমটিতে শিক্ষার্থীরা আসক্ত হচ্ছে। পাবজি গেম বন্ধে দেশটি সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে ব্লক করে দেওয়ার জন্য লিখিত নির্দেশ পাঠায়। কাঠমান্ডু জেলা আদালতের নির্দেশনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবরে বলা হয়েছে। নেপালের শিক্ষক ও অভিভাবকদের অভিযোগ, পাবজি গেমটি শিক্ষার্থীদেরআরো পড়ুন
৩০ জনের প্রাণ বাঁচিয়ে মারা গেল পোষ্য কুকুর
একটি পোষ্য কুকুরের তৎপরতায় অন্তত ৩০ জন মানুষ প্রাণে বেঁচেছে। তবে ৩০ জনের প্রাণ বাঁচালেও কুকুরটি শেষপর্যন্ত মারা যায়। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতে। ঘটনার বিস্তারিত সম্পর্কে জানা যায়, শুক্রবার রাতে উত্তরপ্রদেশের বান্দার একটি বাড়িতে বিধ্বংসী আগুন লেগে যায়। সেসময বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন অন্তত ৩০ জন। বাড়িতে আগুন লাগা দেখে চিৎকার শুরু করেন ওই বাড়ির পোষ্য কুকুর। কুকুরের চিৎকারে বাড়িতে থাকা লোকজন টের পেয়ে বেড়িয়ে আসেন বাড়ি থেকে। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন সংবাদ সংস্থা এএনআই’কে জানান, আগুন দেখেই কুকুরটি চিৎকার শুরু করে। যা ওই বাড়িতে থাকা লোকজন এতে টের পেয়ে বেরিয়েআরো পড়ুন
প্রতারণা করে ৪৯ সন্তানের পিতা এই ডাক্তার!
তাঁর ক্লিনিকে সন্তান হয় না এমন মহিলাদের লাইন লেগে থাকত আইভিএফ পদ্ধতিতে মা হওয়ার জন্য। অথচ ডোনারের শুক্রানুর বদলে একের পর এক মহিলাদের শরীরে নিজের শুক্রাণু ঢুকিয়ে দিতেন নেদারল্যান্ডের এক ডাক্তার। এইভাবে ৪৯ জন সন্তানের পিতা হয়েছেন তিনি। বিবিসি। ২০১৭ সালে ৮৯ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় জান কারবাট নামের ওই ডাচ চিকিৎসকের৷ এর আগে ২০০৯ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তাঁর ওই আইভিএফ ক্লিনিক। সম্প্রতি ক্লিনিকের মাধ্যমে জন্ম নেয়া ব্যক্তিদের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে কারবাটের প্রতারণা ধরা পড়ে। শুক্রবার তার ক্লিনিক থেকে আইভিএফ করিয়ে মা হওয়া ৪৯ জন মহিলার সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষাআরো পড়ুন
চলে গেলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান
ঈশ্বরদীর বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান (৮৪) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে ….রাজেউন)। শনিবার সন্ধ্যা ৬.১০ মিনিটে রহমান কলোনীস্থ নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র, ১ কন্যা সন্তান এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি এক সময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ন্যাপের নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্র ইউনিয়ন, ন্যাপ ও সিপিবির যৌথ গেরিলা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত থেকে দেশ মাতৃকা মুক্ত করার যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় তিনি ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে পাবনা ৪ আসনেরআরো পড়ুন
কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে ইমাম আটক
রাস্তা থেকে ফুসলিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের এক ইমামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পুলিশ মো. মাহফুজুর রহমান (২১) নামে ওই ইমামকে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে সে। ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলার ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদে ইমামের থাকার ঘরে। বর্তমানে ওই কিশোরী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত ইমাম মাহফুজুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলার ভিরাল্লা গ্রামের (আবুল বাড়ির) মো. সাইদুল ইসলাম ছেলে। সে দেবিদ্বার থানাধীন ছোট শালঘর দক্ষিণ পাড়ার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করছে। এআরো পড়ুন
নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা
বোরকা পরা চারজনের তিনজন পুরুষ
ফেনীর সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার সময় উপস্থিত বোরকা পরা চারজনের তিনজনই ছিল পুরুষ। অন্য একজন নারী সদস্য। তারা সবাই ওই মাদ্রাসার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী। শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার। তিনি জানান, রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার প্রস্তাবটি ছিলো শাহাদাত হোসেন শামীমের (২০)। এই হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া বোরকাপরা তিন পুরুষের একজন সে। তাকে আটক করেছে পিবিআই। ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের আরও জানান, রাফিরআরো পড়ুন
নরপশুদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে ক্রসফায়ার বললেন, কাজী ফিরোজ
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি ফেনীর নুসরাত হত্যাকান্ডের বিচার দাবি করে বলেন, আইনের ভয় দেখিয়ে এদের নিভৃত করা যাবে না। এদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে ক্রসফায়ার। যারা শিশু হত্যা, নারী ধর্ষণ, চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করছে বুটেলের মাধ্যমে তাদের বিচার করতে হবে। যেসকল মানবাধিকার কর্মী ক্রসফায়ারের বিরোধীতা করেন, তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই- আপনি নিজে ধর্ষিতা হলে কি বিচার চাইতেন? আইনের শাসনের ভয় দেখিয়ে নরপশুদের শায়েস্তা করা যাবে না। তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে যেনো এ ধরনের হিংস্র আসামীরা পার না পেয়ে যায় সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। শনিবার দুপুরেআরো পড়ুন
শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে দেড় যুগ আগে চাকরি হারিয়েছিলেন সিরাজ উদ-দৌলা
নাশকতা, পুলিশের ওপর হামলা থেকে শুরু করে যৌন হয়রানি, সমিতি ও মাদ্রাসার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সোনাগাজীর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে। মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাতের মামলার আগেও জেলে যেতে হয়েছে তাকে। আলোচনা আছে, জামায়াতের রাজনীতি করলেও ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে পার পেয়ে আসছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। ২০০১ সালে সোনাগাজী ইসলামিয়া মাদ্রাসায় যোগ দেয়ার আগে ধলিয়া সালামতিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন সিরাজউদ্দৌলা। সেখানে চাকরি হারিয়েছিলেন এক শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগে। আশির দশকে ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মী, পরে জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে রোকন হন। ২০১৬ সাল পর্যন্ত জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিলো সোনাগাজীআরো পড়ুন
রাষ্ট্রযন্ত্রের অন্যান্য সংস্থা সক্রিয় থাকলে নুসরাতের এ পরিনতি হতো না, বললেন সুলতানা কামাল
নুসরাতকে পুড়িয়ে মারার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আবার একজন আইনজীবি বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন। এর মানে রাষ্ট্র খুব গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে নুসরাত হত্যায় ছড়িতদের শাস্তির বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বৃহস্পতিবার নিউজ টুয়েন্টিফোরের ‘জনতন্ত গণতন্ত্র’ অনুষ্ঠানে বলেন, রাষ্ট্র বলতে কিন্তু একজনকে বোঝায় না। আমি আমরা সকলেই রাষ্ট্রের অর্ন্তভুক্ত। আমরা বর্তমানে সাংস্কৃতিক, মানস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ভাবে এমন জায়গায় পৌছেছি যেন প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্র অন্যকেউ নয়। প্রধানমন্ত্রী যখন সক্রিয় হচ্ছেন ঠিক তখনই রাষ্ট্র সক্রিয় হচ্ছে, তাছাড়া নয়।আরো পড়ুন