ফণীর নিখুঁত পূর্বাভাস, ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের প্রশংসায় জাতিসংঘ
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ নিয়ে ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ফণী নিয়ে প্রায় নিখুঁত পূর্বাভাস দিয়ে বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।
গত ২০ বছরে ফণীর মতো শক্তিশালী ঝড় দেখা যায়নি পুরীতে। এখন পর্যন্ত এই ঝড়ে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সেখানে। ফণির ছোবলে সমুদ্র উপকূলবর্তী পুরী ও আশপাশের এলাকায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। উড়িষ্যায় প্রায় ১১ লাখ মানুষ এই ঝড়ের কবলে পড়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর ফণীকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের শ্রেণিতে ফেলেছিল। যদিও আবহাওয়া দপ্তর ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ আন্দাজ করতে পারায় বহু লোককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও ঘূর্ণিঝড় ফণীর গতিবিধির ওপর নজরদারি রাখা হচ্ছিল। বাংলাদেশে ফণীর ছোবলের ব্যাপারেও নজরদারি চালাচ্ছে জাতিসংঘের বিশেষ দল।
উপকূল উড়িষ্যায় ফণী যখন আছড়ে পড়ার সময় গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিমি। সেই সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টি। ফলে উপকূলবর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়। এই ঝড়ের গতিপথে প্রায় ২৮ লাখ মানুষের বাস।
যদিও ঝড়ে প্রাণহানি হয়েছে হাতেগোনা কেয়কজনের। সে কারণে ভারতের কাজের প্রশংসা করেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ প্রতিনিধি মামি মাজুতরি।
তিনি বলেছেন, ভারত সেনডাই ফ্রেমওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনতে পেরেছে। সেনডাই ফ্রেমওয়ার্কে ২০১৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বিপর্যয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে বিভিন্ন দেশ চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল।