বোরখা নিষিদ্ধের পর কি ঘোমটাও বন্ধ করে দেওয়া হবে, প্রশ্ন জাভেদ আকতারের
নিউজ ডেস্ক : ভারতের প্রখ্যাত কবি, গীতিকার ও চিত্র নাট্যকার জাভেদ আকতার প্রশ্ন রেখেছেন, বোরখা নিষিদ্ধের পর কি এবার ভারতে ঘোমটাও বন্ধ করে দেয়া হবে? দিল্লিতে গত বুধবার হিন্দি একাডেমির পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন জাভেদ আকতার। মূলত ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির মুখপাত্র শিবসেনার বোরখা নিষিদ্ধের দাবি তোলার পরই এই বক্তব্য দেন জাভেদ।
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ বোমা হামলায় বোরখা ব্যবহার হওয়ার পর সেদেশে বোরখা নিষিদ্ধ করা হয়। শিবসেনার পক্ষ থেকেও দাবি তোলা হয়েছে যাতে ভারত শ্রীলঙ্কার পথ অনুসরণ করে। শিবসেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, আতঙ্কবাদী, অপরাধী, কট্টরপন্থিসহ সবাই অপরাধ সংঘটনে বোরখা ব্যবহার করে থাকে। শিবসেনার বক্তব্য, আতঙ্কবাদী হামলাগুলোতে বোরখাকে বেছে নিচ্ছে। মূলত কেউ যাতে বোরখার আড়ালে থেকে অপরাধ করতে না পারে সেজন্য বোরখা তুলে দেয়া উচিত। তাদের বক্তব্য, ভারতীয়দের সুরক্ষার কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। বোরখা নিষিদ্ধের দাবিটি প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষের কাছে জোরালো হয়। এর পরপরই শিবসেনা তাদের নিজস্ব পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে বোরখা নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। ইত্তেফাক
শিবসেনার এই দাবি দেখে দেশের ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। জাভেদ আকতার তার বক্তব্যে বলেন, বোরখা নিষিদ্ধ করতে যদি আইন করতে হয় তাহলে একই সাথে (ঘুংঘট ব্যবস্থা) ঘোমটা বন্ধের আইনও করতে হবে। রাজস্থানের নারীদের মধ্যে ঘুংঘট প্রথা এখনো খুব বেশি সক্রিয়।
জাভেদ আকতার বলেন, যদি আপনারা বোরখা নিষিদ্ধের জন্য আইন করতে চান এবং তা যদি কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে রাজস্থানে শেষ ধাপের নির্বাচনের আগে এই সরকারের উচিত হবে ঘোমটা প্রথা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া। আমার কাছে মনে হয়, বোরখা ব্যবস্থা এবং ঘোমটা প্রথা উভয়ই তুলে দেয়া উচিত। আমি খুশি হবো।
নিজের পরিবারের নারীদের বোরখা ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, ভাই, বোরখা সম্পর্কে আমার ধারণা কম। কারণ আমার পরিবারের সব নারী সদস্যরাই কর্মজীবী এবং তাদের কখনো বোরখা পরতেও দেখি না। পদ্মভূষণ জয়ী এই গুণী গীতিকার বলেন, ইরাক একটি কট্টর মুসলিম দেশ হলেও সেখানে নারীরা পুরোপুরি মুখ ঢেকে চলে না। শ্রীলঙ্কার নতুন আইনেও বলা হয়েছে যাতে নারীরা পুরোপুরি মুখ ঢেকে না চলেন।