লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, লিবিয়া হয়ে দুটি নৌকায় অভিবাসী প্রত্যাশীরা ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। নৌকা দুইটির একটিতে প্রায় ৫০ এবং অন্যটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল। দুটি নৌকাই গত বৃহস্পতিবার রাতে একই সময় রওনা হয়। তবে একটি নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও বাকিটা ওই দুর্ঘটনায় পড়েন।
আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম উত্তম কুমার। তাঁর বাড়ি শরিয়তপুরের নড়িয়ায়।
এর আগে সোমবার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত করেন। নৌ দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে আসা ব্যক্তিদের থেকে জেনে এ তথ্য দিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিভাগের দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের প্রাদেশিক প্রধান মাঙ্গি স্লিমের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া চার বাংলাদেশি নাগরিকের সঙ্গে আলাপের পর নিহত ২৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় বিষয়ে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। তবে লাশ না পাওয়ার কারণে, তাঁদের নাম এখনো নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় রেখেছেন তাঁরা।