হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছে রুই জাতীয় মা মাছ
দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে রুই জাতীয় মা মাছ নমুনা ডিম ছেড়েছে।
আজ শনিবার ভোর থেকে ডিম আহরণকারীরা ডিম সংগ্রহ করছেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হলে নদীর পাড়ে অবস্থান নেন ডিম আহরণকারীরা। প্রবল বর্ষণের ফলে হালদার সঙ্গে সংযুক্ত খাল, ছড়া ও নদীতে ঢলের সৃষ্টি হয় এবং রুই জাতীয় (রুই, মৃগেল, কাতল, কালিবাউশ) মাছ নমুনা ডিম ছাড়ে।
সাধারণত, চৈত্র ও বৈশাখ মাসে প্রবল বর্ষণ হলে মা মাছ ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার বৃষ্টির পরিমাণ কম থাকায় ঢলের প্রকোপ হয়নি। বৈশাখ মাসের মাঝামাঝিতে নদীতে মা মাছ অল্প ডিম ছেড়েছিল। মা মাছ সাধারণত অমাবস্যা, অষ্টমী ও পূর্ণিমা তিথিতে নদীতে ডিম ছাড়ে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, ‘নিয়মিত অভিযান চালিয়ে মা মাছ সংরক্ষণ, ডিম থেকে রেণু তৈরির কুয়া সংস্কার, কুয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগের কারণে হালদায় ডিম সংগ্রহের পরিমাণ এবার অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।’
তিনি জানান, হালদা থেকে ২০১৮ সালে ২২ হাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৭ সালে একহাজার ৬৮০ কেজি, ২০১৬ সালে ৭৩৫ কেজি (নমুনা ডিম), ২০১৫ সালে দুই হাজার আটশ’ কেজি এবং ২০১৪ সালে ১৬ হাজার পাঁচশ’ কেজি মাছের ডিম সংগ্রহ করা হয়।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদায় সংগ্রহকারীরা যাতে ভালো ডিম সংগ্রহ করতে পারেন এ জন্য মা মাছ সংরক্ষণের উপর জোর দেয়া হয়।
তিনি জানান, ইঞ্জিনচালিত নৌকা জব্দ, নিষিদ্ধ জাল ধ্বংসসহ হালদার দূষণ কমাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি, ডিম থেকে রেণু তৈরির কুয়াগুলো সংস্কারের উদ্যোগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়। BSS