প্রাণের ৭১

টেকনাফ ও কুমিল্লায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

টেকনাফ ও কুমিল্লায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শনিবার দিবাগত রাতে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে র‌্যাব। নিহত তিনজনকেই মাদক ব্যবসায়ী দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।

র‍্যাব-১৫ এর টেকনাফ ক্যাম্পের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মো. মির্জা শাহেদ মাহতাব জানান, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কক্সবাজার পৌরসভার চৌধুরীপাড়ার সুলতানের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৪২), একই এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২৪) ও চট্টগ্রামের আমিরাবাদের মাস্টারহাট এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪০)।

র‌্যাবের ওই কর্মকর্তা দাবি করেন, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ পর ঘটনাস্থল থেকে ৪০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি, চারটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি) ও ২১টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার ভারত সীমান্তের মথুরাপুর এলাকায় রবিবার ভোরে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহতের কথা জানিয়েছে বিজিবি।

নিহত আবুল হাশেম (৫২) জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিরাহিমপুর গ্রামের মৃত  মিন্নত আলীর ছেলে। তাকে মাদক কারবারি বলছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীটি।

বিজিবি-১০ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের ভাষ্য, ভারত সীমান্তবর্তী মথুরাপুর এলাকায় বিজিবির একটি দল মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় মাদক চোরাকারবারিরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় বিজিবিও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে অন্যান্যরা পালিয়ে গেলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘পরে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাকে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।’

বিজিবির ওই কর্মকর্তার দাবি, নিহত আবুল হাশেমের কাছ থেকে ১৮ হাজার ৩৮০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।

UNB






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*