জিয়া কখনই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান কখনই নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেননি, যা বিএনপি করছে। আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
তিনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নানের মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বলেন, জিয়া কখনই দাবি করেননি যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক… কিন্তু বিএনপি জিয়ার মৃত্যুর পর সবসময় ইতিহাস ধ্বংসের চেষ্টা করেছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের (বিএনপি) স্মরণ করিয়ে দিতে চাই বিদেশেও সুস্পষ্ট দলিলপত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস লেখা হয়েছে।
জননেতা এম এ হান্নান স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ঘোষণাপত্র পাঠ করার জন্য সেনা সদস্য হিসেবে জিয়াউর রহমানকে আহ্বান জানান উল্লেখ করে বলেন, জিয়া একজন সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের নির্দেশনা অনুসরণ করেছেন।
ড. হাছান বলেন, আসলে বিএনপি’র রাজনীতি মিথ্যার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং দলের জন্মও অবৈধ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন বিএনপি’র সংসদ সদস্যরা বলছেন এই সংসদ অবৈধ… কিন্তু তারা সংসদে গিয়েছেন। তাই তারাও এখন সংসদের অবৈধ সদস্য হয়ে গেছেন।
তিনি বিএনপিকে একটি অবৈধ দল হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, কেউ বিএনপিকে রাজপথে দেখতে পায় না, তাদের রাজনীতি নয়াপল্টনে তাদের কার্যালয় কেন্দ্রীক।
বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলার ব্যাপারে সরকার কোন হস্তক্ষেপ করছে না।
তিনি বলেন, বেগম জিয়া ইতোমধ্যেই কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। তার মুক্তির আর কোন বিকল্প পথ নেই, তাই তিনি মুক্তি পাবেন কি পাবেন না, তা একমাত্র আদালতই ঠিক করবেন।
অনুষ্ঠানে এম এ হান্নানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে প্রধান অতিথি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত প্রাণ। হান্নান চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের প্রথমে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।BSS