প্রাণের ৭১

আজ শোকাহত মিরসরাই ট্রাজেডি দিবস।

মিরসরাই ট্র্যাজেডির অর্ধযুগ পেরিয়ে গেলেও আজো থামেনি স্বজনদের আহাজারি। সেদিনের দুর্ঘটনার কথা মনে পড়তেই কেঁদে উঠে নিহতদের স্বজনরা।

 

২০১১ সালের ১১ জুলাই দুপুরে মিরসরাই সদরের স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্টের খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের পশ্চিম সৈদালী এলাকায় তেতুলতলা নামক স্থানে সড়কের পার্শ্বের ডোবায় শিক্ষার্থী বহনকারী মিনিট্রাকটি উল্টে পড়ে ৪২ শিক্ষার্থীসহ ৪৫ জন নিহত হয়। মুহুর্তেই মিরসরাইসহ সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘোষণা করা হয় তিনদিনের রাস্ট্রীয় শোক।

 

নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের সমবেদনা জানাতে সেদিন ছুটে এসেছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশি-বিদেশি অনেক সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান।

 

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অগনিত কর্মীবাহিনী ছুটে এসেছে সরেজমিনে ঘটনার ভয়াবহতা তুলে ধরতে। বর্তমানে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের উদ্যোগে সেই খাদে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ ‘অন্তিম’। বিদ্যালয়ের মূল ফটকে স্মৃতিসৌধ ‘আবেগ’ নির্মাণ করেন তৎকালিন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া। এই দুটি স্মৃতি সৌধে প্রতিবারের মতো এবারও শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী শিক্ষকসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন।

 

 

২০১১ সালের ১১ জুলাই ঘটনাস্থলে নিহতরা হলো- তাকিব উল্ল্যাহ মাহমুদ সাকিব, আনন্দ চন্দ্র দাশ, নুর মোহাম্মদ রাহাত, জাহেদুল ইসলাম, তোফাজ্জল ইসলাম, লিটন চন্দ্র দাশ, আরিফুল ইসলাম, উজ্জ্বল চন্দ্র নাথ, তারেক হোসেন, মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, মেজবাহ উদ্দিন, ইমরান হোসেন ইমন, কাজল চন্দ্র নাথ, সূর্য চন্দ্র্র নাথ, ধ্রুব নাথ, সাজু কুমার দাশ, আবু সুফিয়ান সুজন, রুপন চন্দ্র নাথ, সামছুদ্দিন, আল মোবারক জুয়েল, ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, আমিন শরীফ, শরীফ উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন, রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল ইসলাম, সাখাওয়াত হোসেন, তারেক হোসেন, নয়ন শীল, জুয়েল বড়ুয়া, রায়হান উদ্দিন, এসএম রিয়াজ উদ্দিন, টিটু জল দাশ, রাজিব হোসেন, আশরাফ উদ্দিন, জিল্লুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, সাইদুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন পনির, রায়হান উদ্দিন শুভ, মঞ্জুর মোর্শেদ, সাখাওয়াত হোসেন নয়ন, আনোয়ার হোসেন এবং হরনাথ দাশ।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*