শোককে শক্তিতে পরিণত করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা দেশেরত্ন শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলা গড়ার এখনি সময়।
বাঙালি স্বপরিবারে জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা আর বিশ্বনেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ (সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি) ও মীরসরাই উপজেলা শাখার যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ হাসান বলেছেন, ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার এ সংগ্রামে আমাদের অবশ্যই জয়ী হতে হবে।
তিনি আজ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে এ আহবান জানান। আগামীকাল জাতীয়
শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এ দিনে মানব ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকান্ডের শিকার হন সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যগণ।
ঘৃণ্য ঘাতকরা এই দিনে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, ১০ বছরের শিশু স্কুলছাত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, কৃষকনেতা আবদুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকেও হত্যা করে।
বঙ্গবন্ধুর সামরিক সচিব কর্নেল জামিলও নিহত হন ঘাতকদের হাতে। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন এদিন।
মোহাম্মদ হাসান জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মহান আল্লাহর দরবারে জাতির পিতাসহ সেদিনের সকল শহিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। বাঙালি পেয়েছে স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বঙ্গবন্ধু যখন সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সোনার বাংলা গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে হত্যা করে। এর মধ্য দিয়ে তারা বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালায়। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙ্গে ফেলাই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে এবং মার্শাল ল’ জারীর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে। দূতাবাসে চাকুরি দেয়। স্বধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব দেয়। রাষ্ট্রক্ষমতার অংশীদার করে। রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করে। পরবর্তী বিএনপি -জামায়াত সরকারও একই পথ অনুসরণ করে।
২০০৮-২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হয়ে যে সমৃদ্ধ বাংলা ও ভিশন ২০২১-৪১ এর বাস্তবায়ন এবং
উন্নয়নের এই ধারাবাহিকতা চলমান রাখতে দেশের জনগণ ২০১৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কে পুনরায় বিজয়ী করে।
তিনি বলেন, ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স¦প্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও তিতিক্ষার দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ বাঙালি জাতির অন্তরে প্রোথিত হয়ে আছে। জাতির পিতাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা দেশরত্নের সমৃদ্ধ বাংলা প্রতিষ্ঠায় সকলকে আত্মনিয়োগ করার আহবান জানান তিনি।