বন্ধু মসজিদের ইমাম গলা কেটে হত্যা করলো আরেক ইমামকে।
বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকপাড়া গ্রাামের নারায়নদিয়া বায়তুল জালাল জামে মসজিদের ইমাম দিদারুল ইসলামকে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতারকৃত ঘাতক ওহিদুর জামান।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফতাবুজ্জামানের আদালতে এ জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই জানান, আদালতে ওহিদুর জামান স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।হত্যাকান্ডের বিস্তারিত তিনি আদালতকে জানিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত ওহিদুর জামান খুলনা নড়াইল কালিয়া কলাবাড়ি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক টুকু শেখের ছেলে।তাকে বুধবার মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলা থেকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত লুঙ্গি ও কোকের বোতল উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়াও ঘটনার পর দিন একটি রক্তমাখা চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
গত ২২ আগষ্ট বৃহস্পতিবার পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় হত্যাকান্ডের শিকার হন ইমাম দিদারুল। তার বাড়ি খুলনার তেরখাদা থানার রাজাপুর গ্রামে। সে রাজাপুর এলাকার আফতাব ফরাজির ছেলে। গত ২৬ জুলাই তিনি মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে নিয়োগ পান।
আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে গ্রেফতারকৃত আসামি ওহিদুর জামান জানায়, হত্যার উদ্দেশ্যে চাপাতি কিনেছেন মাদারীপুর থেকে। সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া থেকে কিনেছিলেন ঘুমের ওষুধ। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে ব্যাগের ভিতর নিয়েই ঘুরে বেড়িয়েছেন দুই দিন। এরপর সুযোগ বুঝে রাত ২টায় ৩ কোপ দিয়ে হত্যা করেছে ইমাম বন্ধুকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, ঘটনার ৬দিন পর তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওহিদুর জামানকে গ্রেফতারের পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। ১৬৪ধারা জবানবন্দীতে আসামী তার দোষ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ঘাতক ওহিদুর দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছেন।