সংগৃহিত রেণু থেকে ১ লাখ পোনা পরিচর্যা করে হালদায় ছাড়া হচ্ছে
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মাছের পরিমাণ সমৃদ্ধ করতে হালদা নদী থেকে সংগৃহিত রেণু থেকে এক লাখ মাছের পোনা হালদাতে ছাড়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
এবারই প্রথম হালদা নদী থেকে সংগ্রহ করা মাছের রেণু প্রক্রিয়া করে তৈরি পোনা মাছ ফের হালদায় ছাড়া হচ্ছে।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম পর্যায়ে আজ মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) হালদা নদীর সাত্তারঘাট অংশে ১০ হাজার এবং গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় ১০ হাজার মাছের পোনা ছাড়া হয়েছে। বাকি ৮০ হাজার পোনা বিভিন্ন ধাপে-ধাপে হালদায় ছাড়া হবে বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিন।
জানা যায়, হালদা নদীতে এতোদিন স্থানীয় হ্যাচারি থেকে কিনে কার্প জাতীয় মাছ ছাড়া হতো। ফলে এসব মাছ থেকে আশানুরূপ ফল পাওয়া যেত না। এ কারণে হালদা থেকে নেওয়া রেণু প্রক্রিয়া করে তৈরি মাছ ফের হালদায় ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইউএনও রুহুল আমিন জানান, গত ২৫ মে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। এরপর স্থানীয়রা সেই ডিম সংগ্রহ করে হ্যাচারি অথবা মাটির তৈরি কুয়ায় স্থানীয় পদ্ধতিতে রেণু উৎপাদন করে। উৎপাদিত এককেজি রেণু ক্রয় করে গত জুন থেকে গড়দুয়ারা ইউনিয়নের একটি পুকুরে নিবিড় পরিচর্যা করা হয়। বর্তমানে মাছগুলো ৬ ইঞ্চি বা তার বেশি আকার ধারণ করায় আজ স্থানীয় জনগণ ও যারা হালদাকে ভালবাসে তাদের নিয়ে হালদা নদীতে অবমুক্ত করা শুরু করেছি।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মত উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হালদা নদীর পোনা হালদায় ফেলার লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথম পর্যায়ে সাত্তারঘাট অংশে ১০ হাজার এবং গড়দুয়ারা নয়াহাট এলাকায় ১০ হাজার পোনা ছাড়া হয়েছে।
বাকিটা বিভিন্ন ধাপে ধাপে হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হালদা রিভার রিচার্স ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বলেন, উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। অতীতে স্থানীয় হ্যাচারি থেকে পোনা নিয়ে ছাড়া হলেও হালদার পোনা হালদাতে ছাড়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এবার হালদার পোনা হালদায় ছাড়ার কারণে মাছের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
হালদার পোনা পরিচর্যা করে হালদায় ছাড়ল হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন।