করোনাভাইরাসে ২১৩ জনের মৃত্যু : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা
চীনে নতুন করনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার ২১৩ জনের মৃত্যু ও প্রায় ১০ হাজার জনের আক্রান্তের খবরে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
জেনেভায় জাতিসংঘের স্বাস্থ্য দপ্তর এই ভাইরাসের হুমকীকে প্রাথমিকভাবে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা না দিলেও সংকট পর্যালোচনার পর এর ঝুঁকিকে নতুনভাবে মূল্যায়ন করছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস এডানম গেব্রিসাস জেনেভায় এক ব্রিফিং এ বলেন,‘ দূর্বল স্বাস্থ্যাবস্থা সম্পন্ন দেশগুলোয় এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরার আশঙ্কাই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিবেচ্য।’
‘বিস্তার প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। সমন্বিতভাব্্েই আমরা এর প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো।’
টেড্রোস বলেন, চীনের সঙ্গে ভ্রমণ ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পরও ১৫ টির বেশি দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে।
ইতোমধ্যেই অনেক দেশই নাগরিকদের চীন ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে, আবার কোনো কোনো দেশ চীনের কেন্দ্রীয় নগরী উহান যেখানে এই ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় সেখান থেকে ভ্রমণকারিদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খবরে জানা গেছে, সেখানে প্রথম ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি আমেরিকার অপর নাগরিকের দ্বারা আকান্ত হয়। শিকাগোয় বসবাসকারি ওই ব্যক্তি উহান ভ্রমণ করে আসা তার স্ত্রীর মাধ্যমে এই ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে।
এয়ারলাইনসমূহ বুধবার থেকে চীনে সকল ফ্লাইট বাতিল করতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবারও ফ্লাইট বাতিল অব্যাহত রয়েছে।
ইসরাইল চীনের সকল ফ্লাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়া বলেছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে তারা তাদের চীন সংলগ্ন দূরবর্তী পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
৬ হাজারের বেশি পর্যটককে ইটালীর বন্দরে এক জাহাজে সাময়িকভাবে আটকে রাখা হয়। এর আগে চীনের দুই যাত্রীর ভাইরাস বহনের আশংকায় তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। তবে, পরীক্ষা করে দেখা যায় চীনের ওই দুই যাত্রী ভাইরাস আক্রান্ত ছিল না।