হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর
সাংবাদিক শিমুল হত্যা মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমানোর দাবি
সমকাল সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যা মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমিয়ে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে বিচার বিভাগের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন তার স্ত্রী, সন্তান, স্বজন ও সহকর্মীরা।
আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর উপলক্ষে সোমবার সকালে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান।
শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সিনিয়র সভাপতি মো. আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে শিমুলপত্নী বেগম নুরুন্নাহার, সমকালের সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম খান রানা, শাহজাদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুজ্জামান শফি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক হাসানুজ্জামান তুহিন ও প্রচার সম্পাদক শামসুর রহমান শিশির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তরা বলেন, সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল হত্যাকাণ্ডের ৩ বছর পার হলেও বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়া তো দূরের কথা চার্জ গঠন প্রক্রিয়াই এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবিলম্বে রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে চার্জ গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানাই।
এর আগে শাহজাদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে সাংবাদিক শিমুলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পৌর শহরে এক র্যালি বের হয়। র্যালিটি শাহজাদপুর প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ ও কোর্ট চত্বর পরিদর্শন করে প্রেসক্লাবে শেষ হয়।
র্যালিতে সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের স্ত্রী নুরুন নাহার, ছেলে আল নোমান নাজ্জাশি সাদিক, মেয়ে তামান্না-ই-ফাতেমা, মামা আব্দুল মজিদ মন্ডল, ভাই আবুল কালাম আজাদ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলন-নিউ এজের জেলা প্রতিনিধি সুলতানা ইয়াসমিন মিলি, একুশে টিভির জেলা প্রতিনিধি স্বপন মির্জা, দেশ রূপান্তরের জেলা প্রতিনিধি মুমীদুজ্জামান জাহান, সমকাল উপজেলা প্রতিনিধি কোরবান আলী লাভলু, একাত্তর টিভির উপজেলা প্রতিনিধি ফরিদ আহম্মেদ চঞ্চল, ও আমার সংবাদের উপজেলা প্রতিনিধি জহুরুল ইসলাম। মাদলা গ্রামে সকালে শিমুলের কবর জিয়ারত করেন তার স্বজনরা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুরের মনিরামপুরে মেয়র হালিমুল হক মিরুর বাড়ির সামনে আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে সাংবাদিক শিমুল গুলিবিদ্ধ হন। ওই দিন চিকিৎসার জন্য প্রথমে শিমুলকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থার অবনতি দেখে দ্রুত বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য শিমুলকে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। পরে শিমুলপত্নী বাদী হয়ে মিরুসহ ৪০ জনের নামে শাহজাদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। মিরুসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। বর্তমানে সব আসামি জামিনে রয়েছেন।
সমকাল