এদিন উড়েছিল মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের পতাকা
আজ ২ মার্চ, সোমবার। ঐতিহাসিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক ছাত্র সমাবেবেশে প্রথম জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল। ডাকসুর সহ-সভাপতি আ স ম আবদুর রব সেদিন সর্বপ্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। পরদিন ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অপর ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ।
২৩ মার্চ ধানমন্ডিতে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নিজ হাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরে বর্তমান মুজিবনগরের আম্রকাননে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় সর্বপ্রথম জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনের দিন সোমবার (২ মার্চ)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে প্রথম উড়ানো হয় লাল সবুজের এ পতাকা।
সেই দিনই ছাত্রনেতা আর উপস্থিত জনতা জানান দিয়েছিল, আর তারা পরাধীন থাকবেন না।
সময়টা ৪৯ বছর আগে। ১৯৭১ সাল, বাঙালির যুগ সন্ধিক্ষণ। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে লাখো জনতার ক্ষোভে আশার স্ফুলিঙ্গ হয়ে এসেছিল লাল সবুজে মোড়ানো বাংলাদেশের মানচিত্র।
এ প্রসঙ্গে আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি যখন পতাকা মেলে ধরলাম তখন সবাই চিৎকার করছিল, বলছিল আজ থেকে আমরা স্বাধীন। সে আবেগ বলার মতো নয়। পতাকা উড়িয়ে এটাই বলা হয়েছিল এবার সামনে আগাও, পেছনে যাওয়ার আর পথ নেই।
হঠাৎ করে আসেনি এ প্রাণের প্রতীক। ছিল দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিকল্পনা, সততা, পরিশ্রম। তৎকালীন ইকবাল হল এখনো সাক্ষী হয়ে আছে এ ইতিহাসের। ১ মার্চে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় স্বাধীনতার স্বপ্নের পতাকা।
আ স ম আবদুর রব আরও বলেন, ইকবাল হলের ১১৬ নাম্বার রুমে পতাকাটি রঙ করা হয়। স্বাধীনতা একটা পর্যায়ে এসে শেষ হয়, কিন্তু মুক্তির সংগ্রাম কখনও শেষ হবে না।
বর্তমান সময়ে যখন অনুজরা ফিরে দেখেন তাদের অগ্রজদের অবদানকে, ঘাটতি খুঁজে পান নিজেদের মাঝে। কিন্তু সময়ের সাহসীরা আস্থা রাখতে চান তরুণদের ওপরই।