করোনার রেড জোন ইতালি’র শেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ঢুকেছেন শতাধিক প্রবাসী!
চীনের পর সর্বাধিক করোনাভাইরাসে মহামারি রূপ নেয়া ইতালির ভেনেতো রিজিওন থেকে শতাধিক বাংলাদেশী ভেনিস এয়ারপোর্ট থেকে এমিরাতের শেষ ফ্লাইট যোগে বাংলাদেশে এসছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোর করোনা যাচাইয়ের সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার পর নবাগত এই প্রবাসীদের যথাযথ যাচাই না করলে দেশে করোনা ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণ করা হচ্ছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে ও ইতালিয়ান সংবাদ মাধ্যম ‘লা নোভা’ পত্রিকার একটি ভিডিওতে দেখা যায় শুক্রবার (১৩ মার্চ) সকালে শতাধিক বাংলাদেশি এমিরাতের একটি ফ্লাইটে চড়ে বাংলাদেশের পৌঁছান। ইতালির ভেনিস এয়ারপোর্ট থেকে এমিরাতের এটি বাংলাদেশের শেষ ফ্লাইট ছিল।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়- এই প্রবাসীদের সবাইকে করোয়ান্টাইনে নেয়া হয়নি। তাদের ট্রেস করে এখনই কোয়ারাইন্টাইনে নেয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন মন্তব্য করেন- ‘এইবার যদি আমাদের সরকার সত্যি সত্যি আন্তর্জাতিক মানের quarantine না করে তাহলে ডিজাস্টার হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি। এইটা খুবই সিরিয়াস ব্যাপার।’
‘এই মানুষগুলার কি নিজেদের পরিবার পরিজনের প্রতি মায়া নাই? দেশের মানুষজনের প্রতি মায়া নাই। ওই রকম একটি উন্নত চিকিৎসার দেশ ছেড়ে ওখান থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আসার কোন মানে হয়?’ মন্তব্য করেন তিনি।
কামরুল হাসান মামুন এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে লিখেন- ‘হোম quarantine দিয়ে কোন কাজ হবে না। হোম quarantine-এ থেকে এরা পরিবারের সাথে মিশতে পারে। পরিবারের লোকজনও বাহিরের মানুষের সাথে মিশতে পারবে।’
তিনি বলেন- তাহলে ভাইরাস ছড়ানো থামাবে কিভাবে? এই পরিবারের লোকজনদের খাবার সাপ্লাই করার জন্য যথেষ্ট স্বেচ্ছাসেবী দরকার যারা তাদের ঘরের দরজায় খাবার রেখে আসবে এবং ওই পরিবারের কেউ বাহিরে আসবে না। যারা আসছে তাদের নিজেদেরই বলা উচিত যে তারা বাড়ি যাবে না। সরকারি ব্যবস্থায় কঠোর quarantine-এ থাকবেন।’