মধ্য রাতে নিজ ঘর থেকে আটক সাংবাদিককে ১ বছর কারাদণ্ড।
মধ্যরাতে বাড়িতে হানা দিয়ে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন- এর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামকে তুলে নিয়ে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।
জানা যায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে ডিসি অফিসের দুই-তিন জন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারা। পরে সাংবাদিক আরিফেকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট।
কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান সাংবাদিক আরিফের এক বছরের সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের স্ত্রী মোস্তারিমা সরদার নিতু অভিযোগ করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ করে আমাদের বাড়ির গেটে ধাক্কাধাক্কির শব্দ শুরু হয়। আমরা জানতে চাই, কারা ধাক্কাচ্ছে।
এসময় বলা হয়, দরজা খুলুন, না হয় ভেঙে ফেলা হবে। এসময় আমার স্বামী কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসিকে ফোন করলে তিনি বলেন, থানা থেকে কোনও পুলিশ সেখানে যায়নি, কারা গেছে বিষয়টি তিনি দেখছেন। এর মধ্যেই তারা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে। ঢুকেই মারতে শুরু করে আরিফকে। আমার স্বামী ও আমি জানতে চাই আপনারা কারা, কেন মারছেন।
এসময় তারা আরিফকে তুই অনেক জ্বালাচ্ছিস−এই কথা বলেই মারধর শুরু করে। মারতে মারতে তাকে নিয়ে যায়। তাকে একটা শার্ট পরারও সময় দেওয়া হয়নি। মাত্র পাঁচ-সাত মিনিটের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে যায়। বাসায় কোনও তল্লাশি অভিযানও চালানো হয়নি। অথচ দাবি করা হয়েছে তার কাছে মদ ও গাঁজা পেয়েছে। ’
তিনি আরও জানান, ‘বাড়িতে প্রবেশ করা ৭/৮ জন আনসার বাহিনীর পোশাক পরা ছিল। এছাড়া বাইরে আরও ৪০ থেকে ৫০ জন দাঁড়িয়েছিল। আশপাশের লোকজন যাতে বাইরে বেরুতে না পারে সেজন্য প্রতিটি বাড়ির গেটের সামনে ২/৪ জন করে দাঁড়িয়েছিল। ’
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনার সময় বাড়িতে আমার স্বামী, আমি আর আমার দুই শিশু সন্তান ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর এডিশনাল এসপি ও ওসি সাহেব আমাদের বাসা পরিদর্শন করেছেন। তারা বলেছেন, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। ’