লকডাউন ফ্রান্স, আদেশ অমান্য করলে শাস্তি
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ইউরোপের তৃতীয় দেশ হিসেবে লকডাউন ঘোষণা করা হল ফ্রান্সে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে এ আদেশ কার্যকর হয়। এর আগে ইতালি ও স্পেনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। খবর ইয়েনি শাফাকের।
এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন সোমবার এক টেলিভিশন বার্তায় এ ঘোষণা দেন। করোনাভাইরাসের বিস্তার কমিয়ে আনতে ১৫ দিনের জন্য দেশটিকে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া দেশটির নাগরিকদের বাড়িতে থাকার আদেশ দেয়া হয়েছে। এ আদেশ অমান্য করলে শাস্তির ঘোষণাও দেন ম্যাক্রোন। এ ছাড়া দেশটিতে দ্বিতীয় রাউন্ডের স্থানীয় নির্বাচনও বন্ধ করে দেয়া হয়।
ইতিমধ্যে রেস্তোরাঁ, বার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আর রিসোর্টগুলো সীমিত করে দেয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন বলেন, মুদি দোকানে কেনাকাটা, কর্মস্থলে যাওয়া, শরীরচর্চা ও চিকিৎসাসেবায় বের হতে না হলে লোকজনকে ঘরেই আবদ্ধ থাকতে হবে।
অন্তত দুই সপ্তাহে এই বিধিনিষেধ অমান্য করা হলে শাস্তি পেতে হবে। ম্যাক্রন বলেন, জানি, আপনাদের আমি যা বলছি, তা নজিরবিহীন। কিন্তু পরিস্থিতি এমন দাবিই রাখছে। কোনো দেশ কিংবা বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করতে যাচ্ছি না। কিন্তু শত্রু এখন এখানেই, অদৃশ্য ও পলায়নপর, কিন্তু অগ্রসর হচ্ছে।
অচলাবস্থা বাস্তবায়নে এক লাখ সেনা মোতায়েনের কথা ঘোষণা দেন ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টোফ ক্যাস্টেনার। তিনি বলেন, দেশজুড়ে তল্লাশিচৌকি স্থাপন করা হবে। আদেশ অমান্য করলে ১৩৫ ইউরো জরিমানার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে মঙ্গলবার থেকেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সব সীমান্ত কার্যত সিল করে দেয়া হয়েছে। ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে সীমান্ত। তবে ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকদের নিজের দেশে ফেরার অনুমতি দেয়া হবে।
জন হোপকিংস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানায়, ফ্রান্সের ইতিমধ্যে ৬ হাজার ৬শ’ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১৪৮ জন মারা গেছেন।