ঘরে থেকে মানসিক অবসাদ কাটাতে করনীয়ঃ মোহাম্মদ হাসান
করোনার সময়কালে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ইতিবাচক ভাবনা। ইতিবাচক ভাবনা তাড়াতে পারে মনের বিষাদ ও উদ্বেগ।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল এর পরামর্শগুলো তুলে ধরা হলোঃ
ইতিবাচক ভাবনাগুলো যেমন হতে পারেঃ
১. করোনা আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে যায়।
২. কোয়ারেন্টাইন (সঙ্গরোধ) বা আইসোলেশন মানে নিজের সুরক্ষা করা।
৩. নিজেকে রক্ষা করা মানে পরিবারেরকেও নিরাপদ রাখা। সমাজ ও দেশ করোনামুক্ত করার যুদ্ধে অংশ নেওয়া।
৪. এই মূহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘরে থাকা। এটা দেশ প্রেমের বহিঃপ্রকাশ।
ঘরে থেকে মানসিক অবসাদ কাটাতে যা করনীয়ঃ
১. গান শোনা, বই পড়া, লেখালেখি করা অথবা আনন্দময় বা সৃষ্টিশীল কাজ করা।
২. এ সুযোগে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করা।
৩. যার যার ধর্মীয়চর্চা করা।
৪. শিশুদের মনের কথা শোনা। তাদের মতামত নেওয়া। করোনা নিয়ে তাদের মনোভাব তাদের বয়সের স্তরে নেমে বোঝা।
৫. বয়স্কদের প্রতি যত্নবান হওয়া।
৬. সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযায়ী ঘরে এক্সারসাইজ (ব্যায়াম) করা। মেডিটেশনও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
৭. প্রতিদিন ডায়েরি লেখা যেতে পারে।
ইতোমধ্যে করোনাভীতি থেকে অনেকেই মানসিক বিশেষজ্ঞদের দারস্ত হচ্ছেন বলে জানান সহকারী ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মুমীতা জেরিন নীলাভ। আতঙ্কিত রোগীদের ক্ষেত্রে করণীয় সম্পর্কে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, কিছু মানুষ আছেন যাদের মধ্যে ফোবিয়া (ভীতি) বা অ্যানজাইটি ডিসঅর্ডার (দুশ্চিন্তা) আছে। তারা বাসা থেকে বের হতে কিংবা কারো সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছেন। অনেক বেশি আইসোলেটেড হয়ে পড়ছেন। সেক্ষেত্রে আমরা মেডিটেশন নেওয়ার কথা বলছি। নেগেটিভ চিন্তা থেকে বিরত থাকা। একইসঙ্গে এ সময়টা নিজেদের সেলফ ডেভেলপমেন্টের জন্য উপযুক্ত সময়। কারো কোনো বিষয়ে দুর্বলতা থাকতে পারে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে পারে। পাশাপশি গান শোনা, সৃজনশীল কাজ করতে পারেন। আর অবশ্যই সচেতনার পাশাপাশি এসব কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
গবেষকরা বলছেন, করোনা আতঙ্ক থেকে দূরে থাকতে হলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। গায়ে জ্বর অনুভব মানেই করোনা নয়। এটি হতে পারে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা। এজন্য আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতায় খেয়াল রাখা, নিজে সচেতন হওয়া ও মানুষকে সচেতন করা, ভুল তথ্য ও সংবাদ এড়িয়ে চলা। যেহেতু এখনো করোনাভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই এ রোগ প্রতিরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা মেনে চলা প্রয়োজন।