শবে বরাতে ঘরে বসে আল্লাহর ইবাদত করি -রাষ্ট্রপতি
মোহাম্মদ হাসানঃ মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন,পবিত্র শবে বরাত সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক। ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তাই আসুন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হয়ে করোনা মোকাবিলা করি। পবিত্র শবে বরাতের রাতে আমরা নিজ নিজ ঘরে বসে আল্লাহর ইবাদত করি। প্রার্থনা করি পরম করুণাময় যেন বিশ্ববাসীকে এ মহামারি থেকে রক্ষা করেন।’
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনী। এ উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে জানাই আন্তরিক মোবারকবাদ।’
তিনি বলেন, মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবে বরাত প্রধানত সৌভাগ্য রজনী হিসেবে পালিত হয়। মানবজাতিকে এই পবিত্র রজনী আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়।
মো. আবদুল হামিদ বলেন, ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবে বরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমণ্ডিত পবিত্র শবে বরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের উপর বর্ষিত হোক।
রাষ্ট্রপতি সারাবিশ্ব এখন নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিপর্যস্ত উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে এবং মৃত্যুবরণ করছে। বাংলাদেশও এই ভাইরাসের আক্রমণের শিকার। তাই এখন আমাদের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হচ্ছে দেশ ও দেশের জনগণকে করোনার ছোবল থেকে রক্ষা করা। আর এ জন্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। সরকার ইতোমধ্যে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, পবিত্র শবে বরাত সকলের জন্য ক্ষমা, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ কামনা করি। মহান আল্লাহ আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন।