প্রাণের ৭১

দুই পরাশক্তির ফাঁদে আটকা পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাসের মহামারী মোকাবেলায় দুই পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্বের ফাঁদে আটকা পড়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ওয়াশিংটন বলছে, করোনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ অযোগ্যতার পরিচয় দিয়েছে ডব্লিউএইচও। শুধু তাই নয়, সংস্থাটির প্রধান তেদ্রস আধানাম ঘেব্রেইসিয়াসের পদত্যাগসহ এর আমূল সংস্কার দাবি করেছে। চীনের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে এর অর্থায়নও বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত থাকবে বলেও জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।

এর বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের অভিযোগেরও শেষ নেই। চীনা কর্মকর্তাদের দাবি, পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থেই করোনা বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করা হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও রয়টার্স।

দুই পরাশক্তি রাষ্ট্রের নজিরবিহীন এই দ্বন্দ্বে ‘বলির পাঁঠা’ হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্যের অভিভাবক সংস্থাটি। তবে জাপান বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র অর্থায়ন বন্ধ রাখলেও সংস্থায় তহবিল কমাবে না তারা।

করোনাভাইরাস ঠেকানোর প্রচারে ভূমিকা রাখায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সমর্থন জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বলেন, একমাত্র ডব্লিউএইচও-ই আন্তর্জাতিক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে মহামারীর বিষয়টি তুলে ধরায় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের এই সময়ে ডব্লিউএইচও-কে দৃঢ় সমর্থন দিতে হবে।

গত বছরের ডিসেম্বরে মহামারীর শুরু থেকেই এর মোকাবেলায় নানা স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা জারি এবং সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে ডব্লিউএইচও। বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নিয়ে নিয়মিত জরুরি সভার আয়োজন এবং মহামারী বিষয়ে হুশিয়ারি ও সতর্কতা জারি করেছে।

সভায় আলেচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে গৃহীত তথ্য-উপাত্ত সদস্য দেশগুলোর কাছে পৌঁছে দিয়েছে। জরুরি বৈঠক ডেকে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা দেয়। কিন্তু শুরু থেকে সংস্থার কোনো হুশিয়ারিতে কান না দিলেও এখন সংস্থাটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনছে যুক্তরাষ্ট্র।

সর্বশেষ চলতি সপ্তাহে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ‘আপাতত ওই সংস্থাকে অর্থ দেবে না অ্যামেরিকা।’ অভিযোগ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনের প্রতি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*