ত্রাণ নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসের জেরে মারধর, তদন্ত দাবি পরিবারের
রাজশাহীর পবায় ত্রাণ না পাওয়া মানুষের ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে প্রকাশের জেরে এক কিশোরকে মারধর করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য। পরে ওই কিশোরকে ছাড়িয়ে আনতে তার বড় ভাই থানায় গিয়ে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলে পুলিশ তাকেও আটক করে।
এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে সরেজমিন তদন্ত দাবি করেছে ভু পরিবার। ওই কিশোর এবং তার ভাই এখন কারাগারে। মারধরের পর দুই ভাইকে পুলিশে দেয়া হয়েছে বলে তাদের পরিবার জানিয়েছে।
এ দুইজন হলো- পবা উপজেলার দর্শনপাড়া গ্রামের এন্তাজ আলীর ছেলে বোরহানুল ইসলাম মিলন (১৫) এবং তার বড় ভাই বাবু ওরফে মুন্না (২৮)।
সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসককে দেয়া এক স্মারকলিপিতে তাদের বাবা এন্তাজ আলী ও মা সানোয়ারা বিবি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।
তারা বলেন, তাদের এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু অনেকে ত্রাণ না পাওয়ায় ওদের ছোট ছেলে মিলন গত শুক্রবার সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে কয়েকজন গরিব মানুষের সাক্ষাৎকারসহ একটি ভিডিও ফেসবুকে ছাড়েন। এতে ক্ষিপ্ত হন দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কামরুল হাসান রাজ ও সদস্য হাসান আলী।
এ কারণে গত শনিবার চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য সুন্দলপুর এলাকার আবুল, সৈয়দ আলী, বাবু, আবুল কালাম আজাদ, সফিকুল, আরেক ইউপি সদস্য মোর্তজা ও নকির আলীর সহযোগিতায় মিলনকে মারধর করেন। পরে তাকে পুলিশে দেয়া হয়। আর ছোট ভাইকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলে পুলিশ বড় ভাই মুন্নাকেও গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন ইউপি সদস্য হাসান আলী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ঘটনার পর থেকে পুলিশ মাঝে মাঝেই এন্তাজ আলীর বাড়ি যাচ্ছে। তল্লাশির নামে জিনিসপত্র তছনছ করছে। জমির কাগজপত্র নিয়ে যাচ্ছে। আবার নানারকম হুমকিও দেখাচ্ছে।
এতে ঘটনার সরেজমিন তদন্তের দাবি জানানো হয়। এছাড়া মারধরের শিকার কারাবন্দি মিলনের সুচিকিৎসারও দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, মারধরে তার একটি আঙুল ভেঙে গেছে। নির্যাতনের কারণে সারা শরীরে রয়েছে অসংখ্য জখম।
জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক যুগান্তরকে বলেন, একটা স্মারকলিপি পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।