প্রাণের ৭১

লালপুরে কৃষককে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার চেয়ারম্যান বরখাস্ত

করোনা পরিস্থিতিতে ৩৩৩ নম্বররে কৃষক শহিদুল ইসলাম ত্রাণ সহায়তা চাওয়ায় তাকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত চেয়ারম্যান আ. সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

উপজেলার আঙ্গারীপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে ত্রাণ সহায়তা চান। পরে অর্জুনপুর-বরমহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. সাত্তার ১২ এপ্রিল কৃষক শহিদুল ইসলামকে চৌকিদার দিয়ে ডেকে নিয়ে এসে মারধর করেন।

এর পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আ. সাত্তারকে রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানা যায়।

সোমবার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি।

প্রসঙ্গত, লালপুর এবি ইউনিয়নের আঙ্গারিপাড়া গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলামসহ প্রায় ৩০০ জন করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়েন। তিনি টেলিভিশনের মাধ্যমে জানতে পারেন ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে খাদ্য সহায়তা পাওয়া যাবে। পরে তিনি ১০ এপ্রিল ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে তার নিজের ও অনদের জন্য খাদ্য সহায়তা চান।

৩৩৩ নম্বর থেকে তাকে খাদ্য সহায়তার আশ্বাস দেয়া হয়। ৩৩৩ নম্বর থেকে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগতি করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে ওই এলাকায় ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

এর দুদিন পর ১২ এপ্রিল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ. সাত্তার ও চৌকিদার দিয়ে ডেকে এনে কৃষক শহিদুলকে মারপিট করেন।

চেয়ারম্যান কৃষক শহিদুলকে ধমক দিয়ে বলেন, তুই ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেছিস কেন, এতে আমার ও এলাকার সম্মান নষ্ট হয়েছে। এসব কথা বলে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারধর করেন।

চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে আরও বলেন, বিষয়টি আর কাউকে জানাবি না। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে কৃষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আ. সাত্তারের বিরুদ্ধে লালপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। শুক্রবার সকালে আ. সাত্তারকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠানো হয়।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*