বগুড়া আইসোলেশন থেকে পালাল করোনা পজিটিভ রোগী
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট থেকে শুক্রবার সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সিরাজুল ইসলাম (৩৪) নামে এক ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। বিকাল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম থেকে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে তিনি জ্ঞান হারান। গত ১৮ মে তাকে বগুড়া মহাস্থানে যাত্রী ছাউনি থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল।
বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট সূত্র জানায়, সিরাজুল ইসলাম রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শীতলাগাড়ী গ্রামের আবদুল বারীর ছেলে। প্রায় ৯ মাস আগে স্ত্রী অন্যের সঙ্গে পালিয়ে গেলে তিনি বাড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামে চলে যান। সেখানে একটি অটোরিকশা কিনে তা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহী করতেন। পাশাপাশি বাড়িতে থাকা ছেলে (৮) ও মেয়েকে (১০) বিকাশের মাধ্যমে খরচ পাঠাতেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে রিকশাটি বিক্রি করে ১১ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে জ্ঞান হারান। পরে তাকে বগুড়ার শিবগঞ্জের মহাস্থানে যাত্রী ছাউনিতে রেখে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সটকে পড়ে। এর আগে তার কাছে থাকা প্রায় ৭ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
ডা. শফিক আমিন কাজল জানান, ১৮ মে রাতে অচেতন অবস্থায় সিরাজুল ইসলামকে উদ্ধার করে আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ১৯ মে খবর পেয়ে তার স্বজনরা আসেন। ওইদিন তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। পরদিন পাওয়া রিপোর্টে তাকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলা হয়।
শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে ৯টার মধ্যে চিকিৎসক ও নার্সরা মুমূর্ষু এক রোগীকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার সুযোগে সিরাজুল ইসলাম আইসোলেশন ইউনিট থেকে পালিয়ে যান। বিকাল পর্যন্ত তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
ডা. কাজলের ধারণা, অজ্ঞান পার্টির ওই দুই সদস্যকে ধরতেই তিনি রংপুরে পালিয়ে গেছেন।