প্রাণের ৭১

এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে দুই ভাইয়ের দেশ ছাড়ার ঘটনা ‘ব্যবসায়িক দুর্বৃত্তায়ন’: টিআইবি

এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ শীর্ষস্থানীয় দুই কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে মামলা মাথায় নিয়ে ব্যক্তিগত এয়ার-অ্যাম্বুলেন্সে সিকদার গ্রুপের দুই পরিচালকের থাইল্যান্ডে যাওয়ার ঘটনাকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত ‘শূন্য সহনশীলতা নীতির’ সরাসরি বরখেলাপ হিসেবে দেখছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

 

টিআইবির পক্ষ থেকে আজ এক বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে ব্যবসায়িক দুর্বৃত্তায়ন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একে ‘অনৈতিক ব্যবসায়িক চর্চায় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা’ হিসেবেও দেখছে দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থাটি।

 

বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘অবৈধ ঋণ পাইয়ে দিতে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাকে গুলি, আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা তারাই সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের “প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়” “মিথ্যা রোগী সেজে” “এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে” দেশ ছাড়লেন। তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি— এমন অজুহাতে এখানে দায় এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে বিশ্বজুড়ে আকাশপথে যোগাযোগ কার্যত বন্ধ থাকার পরও যে রকম অস্বাভাবিক দ্রুততায় পুরো আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের দেশ ছাড়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে, এবং এখন সরকারের এক বিভাগ অন্য বিভাগের ওপর যেভাবে দায়িত্ব দিয়ে নিজের দায় এড়িয়ে যেতে চাচ্ছে, তাতে অবৈধ যোগসাজশের আশঙ্কা আরও জোরদার হয়েছে। অনৈতিক ব্যবসায়িক সুবিধা নিয়ে দেশের ব্যাংকিং খাতকে প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছেন প্রভাবশালীরা। বরাবরের মতো এবারও যদি তারা সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে দায় মুক্তি পেয়ে যান, সেটা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত “শূন্য সহনশীলতা নীতির” সরাসরি বরখেলাপ।’

 

সেই সঙ্গে সম্প্রতি রাজধানীর বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ রোগী নিহত হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে টিআইবি।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*