বাংলার দুর্নীতিবাজ স্বাস্থ্য মন্ত্রিরা

বাংলাদেশের সবাস্থ মন্ত্রানালয় অত্যান্ত দুর্নীতিবন্ধব একটি প্রতিষ্ঠান।। ২০০১ থেকে বর্তমান পর্যন্ত এ মন্ত্রানালয়ে প্রতি বছর রাষ্ট্র ব্যয় করছে ৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা । কিন্তু এই মন্ত্রানালয়ের অধিনস্ত প্রতিষ্ঠানের কাজের ধরন দেখলে মনে হবে যে প্রতি বছর বরাদ্ধের পরিমান ছিল ১০০ কোটি টাঁকা।।
এ মন্ত্রনালয়ে ২০০১ থেকে দায়িত্ব ছিলেন যথাক্রমে ডাঃ খন্দকার মোশারফ, আ ফ ম রুহুল হক, মোঃ নাসিম ও বর্তমান মন্ত্রী জায়েদ মালিক।। এদের মধ্যে দুর্নীতির মামলা নিয়ে সাজা পেয়েছেন বিএনপি আমলের সবাস্থমন্ত্রি ডাঃ খন্দকার মোশারফ হোসেন।।
অন্যদিকে ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করা সাবেক মন্ত্রী রুহুল হককে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে মোহাম্মাদ নাসিম কে দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০১৪ সালে।। দুজনের বিরুদ্ধেই আছে গুরতর দুর্নীতি ও ব্যার্থতার অভিযোগ। ফলে নতুন করে সরকার গঠন করে জাহেদ মালিককে দায়িত্ব দেয় বহুল সমালোচিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ক্ষমতায় আসা আওয়ামীলীগ।
আজকে কোভীড ১৯ সক্রমনের কালে এসে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে অধিকাংশ হাসপাতালে আইসিউ নেই বা থাকলেও অচল। দুর্নীতিবাজ এ মন্ত্রিদের আমলে একমাত্র ভবন নির্মান ব্যাতিত অন্য কোন উন্নয়ন সবাস্থ মন্ত্রানালয়ে হয়নি। ফলে আজ মানুষ চিকিৎসাহীন মারা যাচ্ছে।
তবে সবচে বড় বিষয় সাবেক মন্ত্রি মোহাম্মাদ নাসিম যিনি জাতীয় নেতার সন্তান তার দুর্নীতি জাতিকে হতাশ করে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল অর্থ প্রাচারের অভী্যোগ। তার পিএস এপিএস রা অর্থের বিনিময়ে নানা রকম রিকিউজিশন দিয়ে অর্থ লোপাট করেছেন।
যাহোক আজ নিজেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোহাম্মাদ নাসিম হাসপাতালে, আমি তার আরোগ্য কামনা করি। তবে যে ভঙ্গুর চিকিৎ্সা ব্যাবস্থা তারা গড়ে তুলেছেন আজ সেখানেই তাকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। যদিও গরিব বাংলাদেশের এই সব দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীরা বিদেশ ব্যাতিত চিকিৎসা নেয়না।
সাকিব মোহাম্মাদ
সাংবাদিক, গবেষক ও অনলাইন এক্টিভিষ্ট।