প্রাণের ৭১

বাংলাদেশের সর্বাঙ্গে দুর্নীতি সর্বাঙ্গে মৌলবাদ !

সাকিবঃ দেশের সমস্ত রাজনীতিবিদদের যেন লুটপাটের নেশায় পেয়ে বসেছে। রাজনীতি তাদের কাছে একটি ব্যাবসা হয়ে দাড়ীয়েছে। জনসেবার বদলে তারা এখন রাজনীতি নামক ব্যাবসা খুলে বসেছে। সমস্ত বিশ্বের মানুষ ও নেতারা যখন কোভীড ১৯ নিয়ন্ত্রনে হিমসিম তখন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও তাদের অনুসারিরা লুটপাটে ডুবে আছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ৪ টি ওয়েবসাইট বানাতে ১০ কোটি টাকা। বালিশের দাম লাখ টাকা। ভবনে রডের বদলে বাশের ব্যাবহার। এ যেন এক পাগলাগারদে পরিনত হয়েছে। মজার বিষয় বাংলাদেশের জনগন এইসব নিয়ে একবারে নিরব। তাদের চিন্তা শুধু ধর্ম গেল বলে। আর এই সুযোগে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রের চরিত্র বদলে দিয়ে ধর্মান্ধতার আড়ালে দুর্নীতিকে বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেওয়া হয়েছে।

গত এক দশকে আমরা যদি দেখি, বাংলাদেশে ধর্মান্ধ গোষ্ঠির ধর্মীয় অবাস্তব দাবিদাওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশকে একটি মৌলবাদি সাম্প্রদায়িক চরিত্র দেওয়া ব্যাতিত আর কোন আন্দোলন করতে বা কথা বলতে দেখা যায় না। যে দেশের মানুষ ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করল তাদের চরিত্র এমন বদলে গেল কেন! এর উত্তর সামরিক মৌলবাদি রাজনীতিতে আবদ্ধ।

সামরিক শাসকেরা সত্তর ও আশির দশকে নিজেদের দুর্নীতি, ব্যার্থতা আড়াল করতে গিয়ে মৌলবাদ নির্ভর রাজনীতি শুরু করে। ফলে দিনে দিনে দেশের অশিক্ষিত শ্রেনী বিশেষ, অন্ধ মৌলবাদে আসক্ত হয়ে তাদের অধিকারের কথা ভুলে যায়। অন্যদিকে মধ্যেবিত্ত শ্রেনীর মধ্যে যে কোন উপায়ে ধনী হওয়ার ইচ্ছা দুর্নীতি কে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দেয়।

অন্যদিকে পারিবারিক রাজনীতির দুই মেরুকরনের ফলে রাজনীতিবিদের বদলে দেশে তৈরী হয়েছে চামচা শ্রেনী।

এই চামচা শ্রেনীর মূখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাড়ীয়ে দুই পরিবার কে তুষ্ট রাখা। এটি হয় প্রতিপক্ষ দলকে নিপিড়ন করে হোক বা অর্থ লুটপাট করে উপহারের মধ্যে দিয়ে। বিদেশে টাকা পাচার, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুট, ক্যাসিনো সহ নানা রকম অবৈধ ব্যাবসায় লিপ্ত রয়েছে আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ নামের এই চামচা শ্রেনী। আর অন্ধ মৌলবাদে ডুবে থাকা বাংলাদেশের মানুষ ঊটপাখির ন্যায় জীবন চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদে যখনই কেউ কথা বলেছে হয় তাদের জায়গা হয়েছে কারাগারে নয়ত পড়েছে মৌলবাদের হানা।

সাকিব মোহাম্মাদ

উপসম্পাদক প্রানের’৭১ নিউজ






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*