মহামারির ‘নতুন ও বিপজ্জনক’ পর্যায়ে বিশ্ব : ডব্লিউএইচও
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) সতর্ক করে বলেছে, বিশ্ব মহামারির ‘নতুন ও বিপজ্জনক’ পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রাজিলে ১০ লাখেরও বেশি লোক করোনায় আক্রান্ত হওয়া এবং আমেরিকার দেশগুলোতে দ্রুত ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার ডব্লিউএইচও এ বিষয়ে সতর্ক করলো।
এদিকে কলম্বিয়া ও মেক্সিকো করোনা সংক্রমণের নির্মম মাইলফলক পাড়ি দিয়েছে। দেশ দ’ুটিতে মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ২ হাজার ও ২০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
ইউরোপে করোনার সংক্রমণ কমে আসার প্রেক্ষিতে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। কিন্তু এশিয়ার কিছু অংশে করোনা তার মরণ থাবা বসাচ্ছে।
করোনা ছড়িয়ে পড়া রোধে নেয়া পদক্ষেপসমূহের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিচ্ছিন্ন থাকার বিষয়ে ছাড় না দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছে।
সংস্থাটির প্রধান টেডরস আধানম গ্রেব্রিয়াসিস এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, বিশ্ব নতুন ও বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। অনেক লোকই বাড়িতে থেকে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ভাইরাসটি এখনও দ্রুতই ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে করোনা ভাইরাসে ৪ লাখ ৫৮ হাজারেরও বেশি লোক মারা গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৮৬ লাখ মানুষ।
এদিকে বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন তৈরির জন্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
আমেরিকার পর বিশ্বে সংক্রমণ ও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ব্রাজিলে। দেশটিতে একদিনে প্রায় ৫৫ হাজার লোক সংক্রমিত হয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখেরও বেশি। মারা গেছে প্রায় ৪৯ হাজার লোক।
মেক্সিকোতে সংক্রমণ অনেক বেশি হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ আগামী সপ্তাহ থেকে সবকিছু পুনরায় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি লোক সংক্রমিত ও মারা গেছে। এ পর্যন্ত মৃতের
সংখ্যা এক লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি। তবে দেশটির শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এন্থনি ফুসি এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমেরিকা নতুন করে লকডাউন জারি করবে না।
তিনি বলেন, এরচেয়ে যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টার ওপর জোর দেয়া হবে।
তিনি ভ্যাকসিনের বিষয়ে আশাবাদী হয়ে বলেছেন, প্রাথমিক ফলাফলগুলো উৎসাহব্যঞ্জক।