৩ মাস কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য বন্ধ ছিল।
টাওয়ার আইফেল দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে নেওয়া লকডাউন শেষে দর্শনার্থীদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হলো প্যারিসের আইফেল টাওয়ার। দীর্ঘ তিনমাসের বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার এটি খুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের (১৯৩৯-১৯৪৫) পর কখনও এতটা সময় ধরে বন্ধ ছিল না আইফেল টাওয়ার।
খুলে দেওয়া মাত্র পর্যটকদের ভিড় করতে দেখা গেছে সেখানে। তবে ভ্রমণপিপাসুদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে লিফটগুলো এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ থাকবে। খবর বিবিসি ও ফ্রান্স টুয়েন্টিফোরের।
বিশ্বের পর্যটনপ্রিয় আইফেল টাওয়ারে প্রতি বছর ৭০ লাখ পর্যটক ভিড় জমান। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই বিদেশি। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল পর্যটনপ্রিয় স্থাপনাটি। এখন খুলে দিলেও ১ জুলাই পর্যন্ত দর্শনার্থীরা আইফেল টাওয়ারের দোতলার বেশি ওপরে যেতে পারবেন না। লিফট বন্ধ থাকায় সেই পর্যন্ত সিঁড়ি ব্যবহার করতে হবে তাদের। ১১ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য মুখে মাস্ক রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
টাওয়ারের নিচে করোনা মহামারির পরিপ্রেক্ষিতে বেশকিছু পরামর্শের স্ট্যান্ড লাগানো হয়েছে। দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখা, মুখে মাস্ক ব্যবহার, কাশি বা হাঁচি এলে কনুই দিয়ে মুখ ঢাকা, টিস্যু ব্যবহার করা, সাবান দিয়ে হাত ধোয়া ইত্যাদি নির্দেশনা রয়েছে স্টান্ডগুলোতে।
এছাড়া নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে সারি বেঁধে দাঁড়াতে নীল রঙা বৃত্ত দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে ফরাসি ভাষায় লেখা ‘ওয়েট’ অর্থাৎ অপেক্ষা করুন। সিঁড়িসহ সবখানে নীল রঙা বৃত্তে লেখা, ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।’ এরইমধ্যে টাওয়ার থেকে প্যারিসের চারপাশ দেখার জন্য ব্যবহৃত দূরবীণসহ সবকিছুতে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে।
আইফেল টাওয়ারের পরিচালনা প্রতিষ্ঠান এসইটিইর পরিচালক প্যাট্রিক ব্রাঙ্কো রুইভো বলেন, ‘মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুরক্ষা ব্যবস্থা। সেজন্যই আমরা সামাজিক দূরত্বের প্রচারণা চালাচ্ছি।’