মীরসরাই পোল্ট্রি খামার মালিক এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন
মোহাম্মদ হাসানঃ অভিভাবকহীন বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি শিল্প।যদিও এখন এক নির্মম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে এ শিল্পের ভিত্তি পোল্ট্রি খামারিরা।
এমতাবস্থায় চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলা পোল্ট্রি খামার মালিক এসোসিয়েশন মোঃ জাহাঙ্গীর ফারুক ভূঁইয়া কে আহ্বায়ক ও আবুল কাশেম মেম্বার কে যুগ্ম আহবায়ক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি ঘোষণা করেছেন।
মীরসরাই পোল্ট্রি খামার মালিক এসোসিয়েশনের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর ফারুক ভূঁইয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পে এপর্যন্ত ক্ষতির পরিমান দুই হাজার কোটি টাকার উপর ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া বাজারে পোল্ট্রি পণ্যের দরপতন এবং উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে না পারার কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন সাধারণ খামারিরা। আর এর প্রভাব পড়ছে দেশের নাগরিকদের উপর। যেমন একদিকে পুষ্টি চাহিদা মেটানো অন্যদিকে বাজার মূল্য চড়া হলে আয়ের সাথে ব্যায়ের সঙ্গতি হারিয়ে ফেলেন।
ইতিমধ্যেই পোল্ট্রি শিল্পকে ঘুরে দাঁড়াতে বিপিআইসিসি’র পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যে সহায়তাগুলো চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে আছে- (১) পোল্ট্রি শিল্পের প্রতিটি শাখা যেমন- নিবন্ধিত ব্রিডার ফার্ম ও হ্যাচারি, বাণিজ্যিক মুরগির খামার, ফিড মিল, ঔষধ প্রস্তুতকারক ও বাজারজাতকারি প্রতিষ্ঠান, কাঁচামাল সরবরাহকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের সুদ আগামী ৬ মাসের জন্য মওকুফ; (২) বন্দরে আটকে পড়া কাঁচামালের কারণে যে পোর্ট ডেমারেজ জমা হচ্ছে তা পুরোপুরি মওকুফ; (৩) সাধারণ মানুষের জন্য সরকার ঘোষিত খাদ্য সহায়তার অংশ হিসেবে ডিম ও মুরগির মাংস বিতরণ; (৫) পোল্ট্রি’র সবগুলো খাতের জন্য ৩০% আর্থিক প্রণোদনা প্রদান; এবং (৬) ‘কোভিড-১৯’ বিষয়ক সচেতনতার অংশ হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমে ডিম, দুধ, মাছ, মাংসের ইতিবাচক প্রচারণা চালানো। এর সাথে আমরা সহমত পোষণ করি।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিচক্ষণ সাহসী নেতৃত্বে সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের প্রশংসা করে আশা পোষণ করেন নিশ্চয়ই সরকার সাধারণ পোল্ট্রি খামার মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। সেই সাথে আমারও দেশের জনগণের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।