প্রাণের ৭১

যুবমহিলা লীগ’র লাবনীর বিচার চেয়ে পাবনা চাটমোহরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ

ডেক্স নিউজঃ “বুঝলাম আপনি মুক্তিযুদ্ধার সন্তান ক্ষমতা কিন্তু আমাদের হাতে কম না, আর একজন মুক্তিযুদ্ধা দেশ স্বাধীন কইরা উল্টাইয়া ফালায় নাই কান ধইরা সামনে হাজির করার ক্ষমতা রাখি আমি নাজমা আপার লোক মাথায় রাখবেন।” যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য লাবনী চৌধুরীর এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে তার এলাকা পাবনা চটমোহরে বিক্ষোভ করেছেন মুক্তিযোদ্ধাগণ।

যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে নানা অসামাজিক অপকর্মে লিপ্ত লাবনী চৌধুরী নামে আরেক পাপিয়া।

বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়,পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার চড়ইকুল ছাইখোলা এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মেয়ে লাবনী চৌধুরী ৮/৯ বছর পূর্বে রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও এলাকার মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ ভর্তি হয়ে শেরে বাংলা নগর আগারগাঁও তালতলা সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারে সাবলেট থাকতো। তারপর সেখানে থেকে লেখা পড়ার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলায়ও নাম লেখান। কিছুদিন যেতে না যেতে লেখা পড়া,ক্লাস,পরীক্ষা, ক্রিকেট চর্চা সব বাদদিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনে ঢুঁ মারতে থাকে পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করে আসছিলো। কারো কারো সাথে ভালো সম্পর্কের মাঝেও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। আবার অনেক প্রবাসীদের সাথেও সম্পর্ক গড়ে তাদের থেকে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে আসছে।

যদিও এসএসসির উপরে যেতে পারেননি কিন্তু বিভিন্ন পোগ্রামে কার ভাড়া করে যাওয়া সর্বপরি গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সংরক্ষিত নারী আসনের জন্যও মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছিলেন। অবশ্য তার কোন দৃশ্যমান আয়ের উৎস পাওয়া যায়নি না চাকুরী না ব্যাবসা।

লাবনী চৌধুরী প্রায় ৫ বছর আগে প্রথম একটি অনলাইন ভিত্তিক সংগঠনে যাওয়া আসা করে এর মধ্যে কুয়েত প্রবাসী একজনের সাথে অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে তার হাতধরে তরুন লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ মহিলা সম্পাদক হয়। এর কিছুদিন পর ঐ কুয়েত প্রবাসী দেশে আসলে ঢাকায় তার সাথে বেশ সময় কাটায় এবং তখন ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তরুণ লীগের এক পোগ্রাম ঐ প্রবাসীর উপস্থিতিতে হয় এবং সে সেদিন প্যান্ট ও ব্ল্যাজার পরে সাথে আরও দুই জন ঢাকা মহিলা পলিটেকনিক এর ছাত্রীকে বেশ সাজিয়ে গুজিয়ে নিয়ে যায় তার কয়দিন পর ঐ প্রবাসী চলে গেলে সে তরুন লীগ ছেড়ে কিছুদিন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন যেটার নেতৃত্বে এখন মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেখানে ঢুকে তাও তার পূর্বপরিচিত একজন এনজিও কর্মকর্তার সাথে সম্পর্কের সূত্রে তবে সেখানেও বেশি কয়দিন টিকে নি তারপর যুব মহিলা লীগের দিকে পা বাড়ায়।বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের গত সম্মেলনের কিছু দিন পূর্ব থেকে সক্রিয় হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। এরপর তার প্রতারণা,অপকর্ম আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।পাশাপাশি সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেকে যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের ঘনিষ্ঠজন দাবী করে নিজের ফেসবুকেও পোস্ট করে।

সর্বশেষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় তার ম্যাশেঞ্জার বার্তা যাতে একজন মুক্তিযুদ্ধার সন্তান পরিচয় দেয়ার প্রতিউত্তরে সে বলে,”বুঝলাম আপনি মুক্তিযুদ্ধার সন্তান ক্ষমতা কিন্তু আমাদের হাতে কম না, আর একজন মুক্তিযুদ্ধা দেশ স্বাধীন কইরা উল্টাইয়া ফালায় নাই কান ধইরা সামনে হাজির করার ক্ষমতা রাখি আমি নাজমা আপার লোক মাথায় রাখবেন।”

উক্ত ম্যাশেঞ্জারে আলাপের স্ক্রীণশর্ট ভাইরাল হলে তিনি তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান তার নামে ফেইক আইডি খুলে তার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী কামরুল জানিয়েছেন, সে মাসখানেক আগে এফবি একটি পোস্ট নিয়ে এ লাবনী চৌধুরী তাকে ইনবক্সে নক করে ও এসব বলে। বর্তমানে তাকে বিভিন্ন মামলার হুমকি দিচ্ছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*