‘নো মাক্স নো সার্ভিস’: প্রধানমন্ত্রী
মোহাম্মদ হাসানঃ দেশে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও আশু করোনার ২য় ঢেউ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা “নো মাক্স নো সার্ভিস”।
আজ ২নভেম্বর সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে জনাকীর্ণ প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মন্ত্রী সভার নিয়মিত বৈঠকে আজকেও কোভিডের সেকেন্ড ওয়েভ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেহেতু আমেরিকা এবং ইউরোপের খুবই খারাপ অবস্থা। অনেক দেশ লকডাউনে চলে গেছে। গতকালকে ফ্রান্সও লকডাউন দিয়ে দিয়েছে। ফ্রান্সে অলরেডি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কেউ অনুমতি ছাড়া বাসা থেকে বের হতে পারবে না। আগে অনুমতি নিতে হবে বের হতে হলে, তাও অনুমতি পাবে এক ঘণ্টার জন্য। এক কিলোমিটারের বাইরে কেউ যেতে পারবে না। সব লোক প্যারিস ছেড়ে দিচ্ছে, প্রায় ৭০০ কিলোমিটার জ্যামের সৃষ্টি হয়েছে। সেজন্য এগুলো বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যে আমরা যেভাবে আছি সেটা কমফোরটেবল, কিন্তু এতে সন্তুষ্টি হওয়ার কোনো কারণ নেই। সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
বিশেষ করে “নো মাস্ক নো সার্ভিস” ব্যাপকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। সামাজিক আন্দোলন, ক্যাম্পেইন বা লিগ্যাল যেভাবেই হোক এটাকে নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ভাবেই মাস্ক ছাড়া যাতে কেউ কোথাও না আসে। এটা অলরেডি সব জায়গায় বলে দিয়েছি। এরমধ্যে সব সচিব, ডিপার্টমেন্ট, নন গভমেন্ট সবাইকে বলে দিয়েছি। সেজন্য আপনাদের (গণমাধ্যম) সবচেয়ে বেশি উদ্যোগ নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গতকাল মসজিদে বলে দিয়েছি, মাস্ক ছাড়া মসজিদে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না, বায়তুল মোকাররমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আমি সারপ্রাইজড হয়েছি, কেউ তিন ফুটের গ্যাপ ছাড়া দাঁড়াচ্ছে না, এবং নিয়ম মেনে চলছেন। আর মসজিদের কর্মকর্তা কর্মচারী কেউ যদি মাস্ক ছাড়া মসজিদে যায় তাহলে তাকে সেজন্য জরিমানা দিতে হবে। পাবলিক পরিবহনে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে আমি অলরেডি বলে দিয়েছি। তারা মিটিং করে ফেলেছে।
লকডাউনে যাওয়ার কোনো ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত না। আমাদের আল্লাহর রহমতে তেমন অবস্থা নেই। আমাদের যে অবস্থা যদি সবাই মাস্ক পড়ি, এটা আজ প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন। আমাদের এখানে ভাইরাসের যে চিত্র দেখেছি, সবাই মাস্ক ব্যবহার করলে আমরা কমফোরটেবল জোনে থাকতে পারব।
এটা আমরা এনশিউর করে দিচ্ছি। কোনো ভাবেই মাস্ক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠোনে যেন সার্ভিস না পাওয়া যায়। আমরা সব অফিসে সেই নির্দেশনা পাঠিয়ে দিয়েছি। যেকোনো পাবলিক প্লেসেই মাস্কের বিষয়ে এই কঠোর নির্দেশনা থাকবে।