প্রাণের ৭১

আজ জাতীয় সমবায় দিবস ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’

মোহাম্মদ হাসানঃ “বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবারের মতো এবারেও সারা দেশে পালিত হচ্ছে জাতীয় সমবায় দিবস।সমবায় দিবস উদ্যাপিত হয় দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিপ্রেক্ষিতকে স্মরণে রেখে। কখনো হয়তো খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সমবায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। কখনো বা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারজাতকরণ ও মূল্য নিয়ন্ত্রণ প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। কখনো বা বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচন গুরুত্ব পায়। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সমবায়ের ভূমিকা অনেক। দরিদ্র নর-নারী কিংবা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির একটি অন্যতম পথ হচ্ছে সমবায়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ১৩(খ) অনুচ্ছেদে সম্পদের মালিকানার অন্যতম খাত হিসেবে সমবায়কে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন। তবে শুধু সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিয়েই সমবায়কে সীমাবদ্ধ রাখেননি, তিনি গ্রাম উন্নয়নের লক্ষ্যে এবং শোষিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সমতাভিত্তিক উন্নয়ন দর্শনের আওতায় সমবায়কে অন্যতম কৌশলিক হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এ লক্ষ্যে গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যম হিসেবে সমবায়কে বেছে নেওয়া হয়। ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে “বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি” (বার্ড)—কুমিল্লায় সমবায়ভিত্তিক “সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচি” শীর্ষক প্রায়োগিক গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়।

দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এড.মো: আবদুল হামিদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। সংবিধানে মালিকানার নীতি হিসেবে সমবায়কে জাতীয় অর্থনীতির দ্বিতীয় খাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তাই সমবায়ভিত্তিক সমাজ গঠনে সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।বাংলাদেশে মানুষের মাথাপিছু জমি ও সম্পদের পরিমাণ অত্যন্ত সীমিত। তাই কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে পূঁজি গঠনে সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা অর্জনে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। শতাব্দী প্রাচীন এ আন্দোলন বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সমবায়ের চেতনাকে প্রবল ও অর্থবহ করে তুলেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা। তিনি দরিদ্র-সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ভাগ্যন্নোয়নে গণমুখী সমবায় আন্দোলনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। এ বছর কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বে স্থবিরতা সৃষ্টি করলেও, সমবায় সমিতিগুলো এ সময় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সদস্যদের ঋণ মওকুফসহ দুর্গত সদস্যদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা ৩০মিনিটে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ পুরস্কার প্রদান করার কথা রয়েছে।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*