একদিন আকাশের ওপারে একসঙ্গে ফুটবল খেলব— ম্যারাডোনার মৃত্যুতে পেলে
স্পোর্টস ডেস্ক
তৃতীয় জন্মদিনে এক আত্মীয় তাকে একটি ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানতো এক সময় এই ফুটবলটাই তাঁর আপন হয়ে যাবে। কে জানতো তিনি হবে ফুটবল ঈশ্বর? কে জানতো তিনি বনে যাবেন ফুটবল বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার? কে জানতো তিনিই হবেন ফুটবল ঈশ্বর ডিয়েগো আরমান্ডো ম্যারাডোনা? জন্মদিনে ফুটবল উপহার পাওয়ার পর বলটা যেন চুরি না হয়ে যায় সে জন্য নিজের জামার ভেতরে নিয়েই ঘুমাতেন। আর আজ চিরতরে ঘুমিয়ে পড়লেন ফুটবল ঈশ্বর। তাঁর মৃত্যুতে মন কাঁদছে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেরও।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হলে জীবনাবসান ঘটে বিশ্বকাঁপানো এই বর্ণিল চরিত্রের। আর্জেন্টাইন শীর্ষ গণমাধ্যম ক্ল্যারিনসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে।
আর্জেন্টাইন মহানায়ক। ফুটবল দক্ষতায় তর্কসাপেক্ষে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। ফুটবল বিশ্বের কিংবদন্তী তিনি। কেবল খেলা নয়, খেলার বাইরেও নানা ঘটনা-অঘটনায় বারবার হয়েছেন সংবাদ শিরোনাম। এবার সব বিতর্ক-আলোচনা-শিরোনামের ঊর্ধ্বে উঠে গেলেন তিনি। ৬০ বছর বয়সে এসে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ‘ফুটবল ঈশ্বর’ দিয়াগো ম্যারাডোনা।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা ক্রীড়াঙ্গনে। ম্যারাডোনার মৃত্যুতে তাঁর সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেরও মন কাঁদছে। এক বিবৃতিতে পেলে জানিয়েছেন, ‘এটা আমার জন্য খুবই দুঃখের একটি সংবাদ। আজ আমি একজন বন্ধু হারালাম আর বিশ্ব হারাল এক কিংবদন্তীকে। এখনও কতকিছু বলা বাকি কিন্তু এই সময়ের জন্য সৃষ্টিকর্তা তাঁর পরিবারকে শক্তিদান করুন। আশা করছি একদিন আমরা এক সঙ্গে আকাশের ওপর ফুটবল খেলবো।’

ফুটবলের প্রতি ম্যারাডোনার ভালোবাসা প্রকাশ পায় তাঁর একটি বচনে। তিনি একবার বলেছিলেন, ‘আমি যদি সাদা পোশাক পরে কখনও কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানেও যাই আর সেখানে যদি কাঁদা মাখা কোনো বল আমার দিকে আসে তাহলে আমি সেটা বুক দিয়েই থামাবো। দ্বিতীয়বার এটা নিয়ে আমি ভাববো না।’
Que notícia triste. Eu perdi um grande amigo e o mundo perdeu uma lenda. Ainda há muito a ser dito, mas por agora, que Deus dê força para os familiares. Um dia, eu espero que possamos jogar bola juntos no céu. pic.twitter.com/6Li76HTikA
— Pelé (@Pele) November 25, 2020
খবরে প্রকাশ, কিছুদিন আগে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল ম্যারাডোনাকে। অস্ত্রোপচারের পর সপ্তাহ দুয়েক আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। পুরোপুরি সেই অসুস্থতা থেকে সেরে ওঠার আগেই হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তার। তাতেই ফুটবল বিশ্বকে কাঁদিয়ে শেষ বিদায় জানিয়ে দিলেন ম্যারাডোনা।