প্রাণের ৭১

জিয়াউর রহমান দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়: হানিফ

মোহাম্মদ হাসানঃ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের মতো সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব।বিএনপির আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

আজ ১১ ডিসেম্বর শুক্রবার শুক্রবার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের মতো সব স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এজন্য আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেব। জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা ধর্মের দোহায় নিয়ে গণহত্যা ও নারী নির্যাতন করেছিল সেই যুদ্ধাপরাধী, দালাল রাজাকারদের জেল থেকে মুক্ত করে দিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। এই বিএনপির আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে ধর্মভিত্তিক অপশক্তি সারা দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, এই দেশে সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল জিয়াউর রহমানের আমলে। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যাকারীদের বিচার না করে তাদের পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এর পরও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকারের কথা বলে, তা জাতি জানতে চায়।

হানিফ আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত কায়েদি। তার মুক্তির জন্য জনগণ তো দূরের কথা বিএনপি নেতাকর্মীরাই রাস্তায় নামেননি। কারণ তারা জানেন তাদের নেত্রী বেগম জিয়া ও তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ। শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় বেগম জিয়া বাইরে আছেন। এরপরেও তারা কোন লজ্জায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথা বলে তা জাতির বোধগম্য নয়।

এ সময় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.শাহীনুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলামসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।






মতামত দিন।

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

*